রাজভবনের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে রাজ্যে নতুন করে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিযোগ উঠছে, বিজেপি ‘ইচ্ছাচারি মনোভাব’ দেখিয়ে কখনও শহরের নাম, কখনও স্টেশনের নাম, আবার কখনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে অতীতের ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করছে। নাম পরিবর্তনের এই ধারাবাহিকতায় এবার রাজভবনের নাম বদলের বিষয়টি সামনে আসায় বিরোধী মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, কোনও জনস্বার্থমূলক কারণ বা উন্নয়নের যুক্তি ছাড়াই রাজ্যপাল ও বিজেপি নেতৃত্ব বারবার নাম পরিবর্তনের রাজনীতি করছে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর উদ্দেশ্যে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য—নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজ মানুষের সমস্যা ও প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া, অথচ তার বদলে অপ্রাসঙ্গিক নামকরণে ব্যস্ত প্রশাসনের একাংশ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম জানান, প্রশাসনিক কাজকর্মে এই নাম পরিবর্তনের কোনও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে না। বরং এতে সমাজে বিভাজন বাড়ে এবং অপ্রয়োজনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছেমতো নাম বদলের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
অপার্থিব ইসলামের আরও দাবি, দেশের প্রকৃত সমস্যা থেকে মানুষের নজর সরাতেই এই নামকরণ–বদলের রাজনীতি কাজে লাগানো হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, রাজভবনের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ রাজ্যে রাজনৈতিক তরজাকে আরও তীব্র করেছে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন—ইতিহাসকে সরিয়ে রেখে নাম বদলের এই রাজনীতির প্রয়োজনই বা কোথায়, এবং এর জবাব দেবেন কে?








