ইমতিয়াজ আলী ( বর্ধমান ) :- ঐতিহাসিক কারনে বর্ধমান শহরকে চেনে গোটা বিশ্ব।এবার সেই বর্ধমান শহরেরই এক খুদে চিত্রশিল্পির অসামান্য প্রতিভার গুনে ফের একবার শহরের নাম উজ্জ্বল হলো।আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত পিকাসো আর্ট কনটেস্টএ ছবি এঁকে দু দুবার পুরস্কআর ছিনিয়ে নিল বর্ধমান এর বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার ফারদুন আলি মিদদা ওরফে বাড়িস ।শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক জাতীয় ও আঞ্চলিক স্তর মিলিয়ে ইতিমধ্যে 286 টি পুরস্কার পুরস্কার এখন তার ঝুলিতে।
মাত্র 17 বছর বয়সের মধ্যে বিপুল সংখক পুরস্কার জিতে বর্ধমান শহরের বিস্ময় বালক নামে পরিচিত হয়েছে বাড়িস।একেবারে অল্প বয়স থেকেই তার ছবি আঁকা শুরু।প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা মিসাইল মান এ পি জে আব্দুল কালাম এর ছবি এঁকে প্রথমে সবার নজর কারে।এর পর একের পর এক অংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।হাতে নাতে মেলে সাফল্য।বেশিরভাগ প্রতিযোগিতাতায় প্রথম স্থান অধিকার করে বাড়িস।জাপানে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন পিকচার কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতে নেয় বাড়িস ।

দিল্লিতে আয়োজি মিনিষ্ট্রি অফ পেট্রোলিয়াম এন্ড ন্যাচারাল গ্যাস কমিশন আয়োজিত অংকন প্রতিযোগিতায় তার আঁকা ছবি উচ্চ প্রশংসিত হয়।,।পুরস্কার নিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির হাত থেকেও।বর্ধমান শহরের বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তি তার আঁকা ছবির প্রসংসা করেছেন।খুদে এই শিল্পীর মা আদুরী বেগম জানান জন্মের পর এই শিশু আর পাঁচটা শিশুর মত স্বাভাবিক ছিল না।নানান শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।।মায়ের যত্ন ও অকৃত্রিম ভালোবাসায় সে সুস্থ হয়ে ওঠে।এর পরই বিচ্ছুরণ ঘটে একের পর এক চোখধাঁধানো প্রতিভার।
বোরহাট রামকৃষ্ণ সারদাপিঠ বিদ্যালয়ের ছাত্র বাড়িস এ বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।পড়াশুনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও নিরবিচ্ছিন্ন তালিম নিচ্ছে সে।সেইসঙ্গে সম্প্রতি আরো এক প্রতিভা তাকে নতুন করে চর্চার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।তুলনামূলক ধর্মের উপর বই লিখে সমাদৃত হয়েছে বহু খ্যাতনামা লেখকের কাছ থেকে।প্রফেট মহম্মদ নামের এই বই এখন সমগ্র বিশ্বে বহুজাতিক অনলাইন সাইটের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে।
কথা বলে জানা গেল ভবিষতে সে একজন আন্তর্জাতিক মানের চিত্রশিল্পী হয়ে ভারতের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।বাড়িস জানাই তার এই সাফল্যের পিছনে মা আদুরী বেগম ও বাবা মতিন মিদদার নিরলস ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা তাকে সর্বদা নতুন কিছু করতে উৎসাহ যোগায়।তবে সামনে এখনো অনেক পথচলা বাকি।।।তাই কঠিন পরিশ্রম ধৈর্য ওনিষ্ঠাকে সঙ্গী করে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে বাড়িস নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।ক্ষুদে এই শিল্পীর প্রতিভাকে কুর্ণিশ জানিয়ে কৃষক সেতু বাংলার পক্ষ থেকেও রইল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।