বর্ধমান শহরে ঘাঁটি গেড়ে দিব্যি প্রতারণা চালাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের জামতারা গ্যাংয়ের তিন প্রতারক। । বর্ধমান থানার পুলিশ এঁদের বিষয়ে কোন টের না পেলেও দিল্লি পুলিশের থেকে রেহাই পায়নি নি এই প্রতারকরা। শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের একটি ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়ে দক্ষিণ– পশ্চিম দিল্লির সবদরজং এনক্লেবের সাইবার থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রবি মণ্ডল,রমেশ কুমার মণ্ডল ও মহেন্দ্র কুমার মণ্ডল।রবির বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জামতারা জেলার শিয়াতর গ্রামে। রমেশের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার মাের্গা মুণ্ডা থানার কেন্দুয়াতণ্ডে। অপর ধৃত মহেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বেঙ্গাবাদ থানার রাতডি এলাকার বাসিন্দ।
দিন রাতেই তিন ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করে দিল্লি পুলিশ । হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার এবং গ্যাংয়ের বাকিদের হদিশ পেতে দিল্লি পুলিল তিন ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশ আবেদন জানায় সিজেএম বিনোদ কুমার মাহাত সেই আবেদন মঞ্জর করেন ।আগামী ২৭ মের মধ্যে ধৃতদের পাতিয়ালা হাউস কোর্টের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করার জন্য সিজেএম তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।২৮ মের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ই-মেইল করে পাঠানোর নির্দেশও সিজেএম দিয়েছেন ।
সরল মনে তা বিশ্বাস করে লক্ষ্মণ ওই ’অ্যাপ’ ডাউনলোড করেন । অভিযোগ ,এর পরেই লক্ষ্মণের কাছে তাঁর ব্যাঙ্কের বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তিনি তাও দিয়ে দেন।এরপরই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে থাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ হাজার ১৬১ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ নিয়ে খোঁজখবর চালিয়ে লক্ষ্মণ জানতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। জলবোের্ডর কর্মীর পরিচয় দিয়ে তাঁকে ঠকানো হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে তিনি দক্ষিণ– পশ্চিম দিল্লির সবদরজং এনক্লেবের সাইবার থানার অভিযোগ
দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সেই সাইবার থানার পুলিশ যে মোবাইল নম্বর থেকে লক্ষ্মণকে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটির সম্পের্ক তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর মোবাইল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল সাের্পাটের সাহায্যে ঘটনায় এই তিনজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে দিল্লি পুলিশ। টেকনিক্যাল সাের্পাটের মাধ্যমে দিল্লি পুলিল এও জেনে যায় প্রতারকরা বর্ধমান থানা এলাকায় রয়েছে।এরপরেই দিল্লি পুলিশের একটি দল বর্ধমানে এসে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে তিন প্রতারককে পাকড়াও করে।
