প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়পাধ্যায় ও পথিকৃৎ দাস বৈরাগ্য, বর্ধমান
অন্তঃসত্বা বধূকে লক ডাউন চলাকালীন বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার অভিযোগ উঠলো শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে ।নিরুপায় হয়ে বধূ বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার রাশপূির্ণমা তলায় থাকা মায়ের কাছে যাবার জন্য বোলপুর থেকে রেলপথ ধরে হাঁটা শুরু করে। অসহায় ওই গৃহবধূকে শনিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের বনপাশ স্টেশন থেকে উদ্ধার করে গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ। তারা বধূর খাবার দাবারেরও ব্যবস্থা করে ।রবিবার বধূকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । বধূ যেখানে যেতে চাইছেন সেখানেই তাঁকে পৌছে দেবার নির্দেশ গুসকরা বিট হাউসের ওসিকে দিয়েছেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা ।

গৃহবধূ গুসকরা বিট হাউসের পুলিশের আন্তরিক ভূমিকার প্রশংসা করলেও বোলপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । বধূর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি লোকজন তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর তিনি বোলপুর থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, বোলপুর থানার পুলিশ তাঁর অভিযোগও নেয়নি বাড়ি পৌছে দেবারও ব্যবস্থাও করেনি। গুসকরা বিট হাউসের ওসি অরুণ সোম বলেন,গৃহবধূকে বাঁকুড়ায় তাঁর মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়টি এদিনই বোলপুর থানাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে বছর ১৮ বয়সী রাজনন্দিনী চট্টোপাধ্যায়েয় বোলপুর থানার মোহনপুরের এক যুবকের সঙ্গে । কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী থাকেন মহারাষ্ট্রে । বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রাজনন্দিনীর উপর নির্যাতন চালিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে বাপেরবাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা শুরু করে। অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধোর করে শনিবার সকালে তাঁকে একবস্ত্রে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

রাজনন্দিনী জানান ,তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন । কিন্তু, থানা অভিযোগ না নিয়ে লক ডাউন মেটার পর তাঁকে আসতে বলে দায়সারে ।রাজনন্দিনী বলেন ,বোলপুর থানা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়েই তিনি করোনা আতঙ্ক ও লক ডাউন উপেক্ষা করেই বর্ধমানে আসার জন্য বোলপুর থেকে ট্রেন লাইন ধরে হাঁটা শুরু করেন। ক্লান্ত হয়ে পড়ে বনপাশ স্টেশনের কাছে পৌছে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে সংলগ্ন জায়গায় বসে পড়েন । শনিবার রাতে গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এদিন বাঁকুড়ায় মায়ের কাছে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করেছে ।