প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ৬ নভেম্বর: বাড়ি বাড়ি না গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসে SIR এর ফর্ম বিলি করছিলেন বিএলও (BLO)।তা নিয়ে প্রতিবাদ করায় বিএলও-র চরম হুমকির মুখে পড়লেন বিজেপির বিএলএ(BLA)। শতাধীক লোক নিয়ে গিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে বিজেপির বিএলএ কে মারধোর করা হবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিএলও-র বিরুদ্ধে। এমন হুমকির ঘটনানিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের ধুলুক গ্রামের ৩৬ নম্বর বুথ এলাকায় ।বিএলও কে বহিস্কার এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে বিজেপি-র বিএলএ এদিন জামালপুর থানা ও বিডিও-র দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন।শুরু হয়েছে অভিযোগের তদন্ত।
পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কথায় জানা গিয়েছে, জামালপুর বিধানসভার পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম ধুলুক। এই গ্রামে ৩৬ নম্বর বুথের বিএলও (BLO) হয়েছেন স্থানীয় কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।একই বুথে বিজেপির তরফে বিএলএ
(BLA) করা হয়েছে স্থানীয় কুন্তল মজুমদার কে। বিজেপির বিএলএ-র অভিযোগ , বুথ এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে SIR এর ফর্ম বিলি করার নির্দেশ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।কিন্তু তা না করে নিরাচন কমিশন নিযুক্ত বিএলও কৌশিক
চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসে SIR ফর্ম বিলি করছিলেন। জামালপুর ১ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি প্রধান চন্দ্র পাল জানিয়েছেন,“পুলিশ ও প্রশাসন ওই বিএলও-র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন“।
পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে বিজেপি-র বিএলএ কুন্তল মজুমদার জানিয়েছেন,“তাঁদের বিএলও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসে SIR এর ফর্ম বিলি করছিলেন দেখে তিনি প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি বিএলও-র অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বসে SIR এর ফর্ম বিলি করার দৃশ্য তিনি নিজের ফোনের ক্যামেরাতে বন্দি করেন। কুন্তলের অভিযোগ ,“ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বারান্দায় বসে SIR এর ফর্ম বিলি করা নিয়ে তিনি প্রদিবাদ করতেই বিএলও চটো গিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু করে।
১০০-১৫০ লোক নিয়ে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে তাঁকে মারধোর করানোর হুমকি বিএলও দিয়েছে বলে বিজেপির বিএলএ কুন্তলের অভিযোগ । দলের নেতৃত্বকে তিনি বিএলও-র এই হুমকির কথা জানান। পরে দলের নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে তিনি এদিন বিকালে ব্লকের বিডিও এবং জামালপুর থানায় বিএলও-র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান। বিডিও ( জামালপুর) পার্থসারথী দে এবং ইআরও নিলিমা সামন্ত এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চান নি।জেলাশাসকের মানা রয়েছে বলে জানিয়ে তাঁরা কার্যত মুখে কুলুপ আঁটেন।জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক আলক মাঝি বলেন ,“বাংলায় SIR লাগু করেও আখেরে যে কিছু লাভ হবে না সেটা মনে হয় বিজেপির নেতারা বুঝে গিয়েছে। তাই তারা
নানা অছিলায় বিএলও দের স্বাধীন বাবে কাজ করায় বাধাসৃষ্টি করছে“।
বিএলও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় কে এ নিয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, SIR এর ফর্ম বিলি সংক্রান্ত আমার কাজের একটা ভিডিও খোদ ইলেকশন কমিশন তাদের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে। এটা আনেকে মনে নিতে পারে নি । তাই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার (Propaganda) ছড়ানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন , এদিন সকালে SIR এর ফর্ম নিয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি বিলি করতে যাচ্ছিলেন । তখন গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আশেপাশের বাসিন্দারা আমাকে দাঁড় করিয়ে SIR ফর্ম চায়।তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বারান্দায় বসে ওখানকার কয়েকজনকে SIR এর ফর্ম দিয়ে তিনি অন্য বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি ফর্ম দিতে চলেযান। বিএলএ কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কৌশিক চট্টোপাধ্যায় অস্বীকার করেছেন।








