সংবাদদাতা; মহিষাদলঃ এবার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগে নাম জড়ালো বিজেপির প্রধানের। ইতিমধ্যে ওই বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিও ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। জানা গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল ব্লকের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোলসরা খালের ওপর একটি কংক্রিটের বীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। যার জন্য টেন্ডার হয় গত জানুয়ারি মাসে। সেই টেন্ডারে সঠিক শংসাপত্র নেই এমন ঠিকাদারকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভ্রা পন্ডা টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে ঠিকাদারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি বিধি লংঘন করে বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা প্রবীর প্রামানিক। গোটা টেন্ডার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিডিও ও জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, আগে ওই খালের ওপর কাঠের ব্রিজ ছিল।
ফলে বর্ষাকালে যাতায়াত করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতেন স্থানীয়রা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের দাবি ছিল ওই খালের উপরে। এমন পরিস্থিতিতে অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃক সাংসদ তহবিল থেকে কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের ই- টেন্ডার হয়। গোটা কাজের জন্য বরাদ্দ ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৩৬ টাকা। আর সেই টেন্ডার যে ঠিকাদার পেয়েছেন তার শংসাপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। এরপরেও কিভাবে ওই ঠিকাদারকে দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের বরাত দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যরা। ইতিমধ্যে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষের পথে। অভিযোগকারী ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল বিরোধী দলনেতা প্রবীর প্রামানিক জানান, “যে ঠিকাদারের বৈধ কাগজ নেই তাকে দিয়ে এই ধরনের ব্রিজ নির্মাণ করাচ্ছেন ওই প্রধান। আমি এই পাহাড় সমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাই প্রশাসনের কাছে। আগামী দিনে ব্রিজ ভেঙে পড়লে কে দেয় নেবে?” যদিও এ বিষয়ে প্রধান শুভ্রা পন্ডাকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। মহিষাদলের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বরুনাশীষ সরকার বলেন, “আমার কাছে ইতিমধ্যে অভিযোগ জমা পড়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
