ষষ্ঠীর দিন নয়, মহালয়ার সময় থেকেই বাঙালির পুজো উৎসবের আবহ শুরু হয়। ফলে কলকাতা থেকে জেলা—সব জায়গায়ই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এই সময়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, পুজোর সময়ে এলাকায় উপস্থিত থাকতে হবে, আর্থিকভাবে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে, তবে “আলটপকা মন্তব্য নয়”, পরিস্থিতি বিবেচনা করে বক্তব্য রাখতে হবে।

পুজো উপলক্ষে মন্ত্রী-বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা:
১) এলাকায় থাকুন, শান্তি রক্ষা করুন
পুজোর সময় নেতাদের এলাকায় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। মমতার বার্তা—কোনও পরিস্থিতিতেই অশান্তি ছড়াতে দেওয়া যাবে না। এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করা প্রশাসন ও নেতাদের প্রধান দায়িত্ব।
২) গরিবদের পাশে দাঁড়ান নিজের সঞ্চয় থেকেও
শুধু দলের ফান্ড নয়, ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকেও আর্থিকভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
৩) ‘মুখ খুলবেন বুঝে’, মিডিয়ার সামনে নয়
দলের ভিতরে মতপার্থক্য থাকলেও তা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সংবাদমাধ্যমের সামনে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে দলের পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা—’আপনারা সরকার ও দলেরই অংশ। তাই মুখ খুলবেন বুঝে।’
বৈঠকে শুধুমাত্র পুজো নয়, শিল্প ও কর্মসংস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পর্যটনের পর এবার লজিস্টিকস খাতকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে রাজ্য। মমতার বক্তব্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের নতুন পথ খুলে দেবে।
একই সঙ্গে তাজপুর-ডানকুনি-রঘুনাথপুর ইকোনমিক করিডরের সংলগ্ন এলাকায় নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে প্রায় ২০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত শিল্পোন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।