আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার সহযোগীতায় মেমারির স্কুলের জমিতে শুরু হল আপেল চাষ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান
জেলা। ধান ,আলু ও সবজি উৎপাদনে এই জেলা অগ্রগন্য । তবে এবার শস্যগোলার মাটিতেনজর কাড়বে আপেল চাষ ।এমনটা শুনে অবাক লাগাটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু বাস্তবেই মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবসের দিনে মেমারির ক্রিস্টাল মডেল স্কুল তাদের নিজেদের জমিতে বানিজ্যিক ভাবে আপেল চাষ শুরু করে দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। মেমারি সহ বাংলার কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নতির দিশা দেখাতে এই উদ্যোগ বলে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অরুন কান্তি নন্দি জানিয়েছেন ।বিদ্যালয়ের জমিতে শুরু হওয়া আপেল চাষ সাড়া ফেলে দিয়েছে মেমারির চাষি মহলে ।


বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অরুন কান্তি নন্দি এদিন জানিয়েছেন ,ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া’। তাদের সহযোগিতাতেই সারাদেশের মধ্যে প্রথম মেমারির ক্রিস্টাল মডেল স্কুল নিজেদের জমিতে আপেল চাষ শুরু করলো । যার মূল উদ্দেশ্য মেমারি সহ বাংলার চাষিদের আপেল চাষে উদ্বুদ্ধ করা । এর আগে ‘ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া ’গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশে আপেল চাষে দিশা দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছিল । একই রকম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে ক্রিস্টাল মভেল স্কুলের জমিতেও ‘এইচ আর এম এন ৯৯’ প্রজাতির আপেলের চারা বসানো শুরু হয়েছে ।ন্যাশনাল ইনভেশন
ফাউণ্ডেশন ইন্ডিয়া ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
মনে করছে গাছ লাগানোর দুই বছরের মধ্যে
শুরু হয়ে যাবে আপেলের উৎপাদন । স্কুলের জমিতে উৎপাদিত আপেল স্বাদ, আকৃতি ও বর্ণে হিমাচল প্রদেশের সমমানের হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী গণ। আর তেমনটা হলে মেমারির এই স্কুলই বাংলার চাষিদের আপেল চাষে পথ দেখাবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি ।


আপেল চাষের জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরির উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের ‘ইকো ক্লাবের’ ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ নিয়েছে।অধ্যক্ষ অরুন কান্তি নন্দি জানিয়েছেন,গুজরাট,উত্তরপ্রদেশ ও বাংলাদেশের সিলেটে এখন বানিজ্যিক ভাবে আপেলের চাষ হচ্ছে ৷ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে তিনি জানতে পারেন এখানকার পরিবেশের সঙ্গে সেখানকার অনেকাংশে মিল রয়েছে৷ তার পরেই বিদ্যালয়ের জমিতে আপেলের চাষ করার চিন্তাভাবনা শুরু করেন ।


অধ্যক্ষের কথায় আরো জানা গিয়েছে ,চারা গাছ রোপণের পর উৎপাদন শুরু দু- তিন বছর সময় লাগবে । প্রথম দফায় একটি গাছ থেকে প্রায় ৫০- ৬০ কেজি আপেল উৎপাদিত হবে । পরবর্তী দশ বছরে তা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ কেজি মত দাঁড়াবে । ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান এলাকার চাষিদের সঞ্চারিত করতে চায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারজন্য তারা বিশেষ ওয়ার্কশপের পরিকল্পনা নিয়েছে। বিকল্প চাষের প্রশিক্ষণ নিতে এই জেলার চাষিদের ভিন রাজ্য বা ভিন দেশে যেতে হবে না জেনে খুশি মেমারির চাষিরা । রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন ,“বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন । যা চাষিদের বিকল্প চাষে দিশা দেখাবে । ”

See also  বাংলার মীরজাফরদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বাংলার জনগণ

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি