কৃষকসেতু, পারিজাত মোল্লা

মানুষই মূল – ভুতনাথ মন্দিরে অনুপম হালদারের নীরব পূজো।
যখন চারপাশে আলো, ক্যামেরা – ঝলকানি—সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জয়েন্ট কমিশনার (রেভিনিউ) অনুপম হালদার দেখালেন এক অন্যরকম উদাহরণ।
প্রকৃতিপ্রেমী, পুরস্কারপ্রাপ্ত ফটোগ্রাফার, আবার অন্যদিকে ভূতনাথ মন্দিরের এক নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা—এই পরিচিত মুখটি এসেছিলেন ভুতনাথ মন্দিরে একান্ত নিজের মনের মতো করে পূজো দিতে ।
তিনি উত্তরের উদ্দেশ্যে বলেন,
“পুজো করার জন্য এসেছি। বাবার পুজো মন প্রাণ দিয়ে করলাম। আমি জানতাম, এখানে অনেক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ থাকেন। তাই যতটা পেরেছি, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম,” — ।
তিনি এসেছিলেন পুজো দিতে, আর মন থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্য করতে।
পুজো দেওয়ার পর ভূতনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকার অনাথ ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছেন। কারও হাতে জামা কাপড় দিয়ে সাহায্য, তো কারও মুখে একটু হাসি—সবটাই নীরবে।
তিনি আরও বলেন—
“মানুষের পাশে থাকাটাই আমার আসল কাজ। আমি চাই এই মানুষগুলো ভালো থাকুক। আমার এই পদ যদি কারও মুখে একটুখানি হাসি আনতে পারে, সেটাই আমার পুরস্কার।”
যেখানে অনেকেই জনসংযোগ বাড়াতে সাহায্যের ছবি তুলিয়ে থাকেন, সেখানে অনুপমবাবুর এই নিঃশব্দ সহানুভূতির বার্তা নিঃসন্দেহে সমাজের জন্য এক আলোকবর্তিকা।