পূর্ব বর্ধমানের ভাতার বিধানসভা এলাকায় এসআইআর–সংক্রান্ত অতিরিক্ত চাপকে ঘিরে একের পর এক উদ্বেগজনক ঘটনা সামনে আসছে। ভুমসোড় গ্রামের বাসিন্দা, বছর চল্লিশের মুস্তরা খাতুন কাজী আতঙ্ক ও মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার বয়স চল্লিশ। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ।
এরপর একই বিধানসভার রায় রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা ও ১৯ নম্বর বুথের ব্লক লেভেল অফিসার (বি.এল.ও) রবীন্দ্রনাথ রায় (৫৫) কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। শনিবার গভীর রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তিনি বাড়ি ফেরেন।
রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, টানা এক মাস ধরে ডিজিটাইজেশন, ফর্ম সংগ্রহ, ফর্ম জমা দেওয়া, নথির জটিলতা দেখা ও ফাইলিং—সব মিলিয়ে কাজের পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু এলাকায় ৫জি নেটওয়ার্ক না থাকায় টুজি নেটেই কাজ চালাতে হচ্ছে, ফলে নেটওয়ার্ক সমস্যায় প্রতিদিনই দেরি হচ্ছে।
আপাতত তাঁর বাকি কাজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সামলাচ্ছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের স্বাস্থ্যকর্মধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাঁর মতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত কাজের চাপ তৈরি হচ্ছে এবং এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকে মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা বেড়েছে। তিনি রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে ব্যক্তিগত অভিযোগও তোলেন! বিশ্বনাথ রায় বলেন, “বিজেপির হয়ে রাজনৈতিক লড়াই এর ব্যাটন ধরেছেন নির্বাচন কমিশন”!
ঘটনাগুলি কেন্দ্র করে ভাতারসহ পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন–সংক্রান্ত অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে বলে জানা গেছে।








