দিঘায় জগন্নাথ ধাম নির্মাণের পর এবার রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে নিউটাউনে গড়ে উঠতে চলেছে ‘দুর্গাঙ্গন’। দুর্গাপুজোর শিল্প, কারুকাজ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে এই বিশেষ প্রকল্পের শিলান্যাস হতে চলেছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলার দুর্গাপুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি শিল্পীসত্তা, লোকসংস্কৃতি ও সামাজিক মিলনের এক অনন্য নিদর্শন। সেই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতেই নিউটাউনে ‘দুর্গাঙ্গন’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত দুর্গাঙ্গন হবে দুর্গাপুজোর থিম, শিল্পকলা ও সৃজনশীলতার এক স্থায়ী প্রদর্শনী ক্ষেত্র। এখানে পুজোর ইতিহাস, শিল্পীদের শিল্পকর্ম এবং বাংলার লোকশিল্প একত্রে তুলে ধরা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শিল্পী মহল ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। দিঘায় জগন্নাথ ধাম ও নিউটাউনে দুর্গাঙ্গন—এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে যেভাবে রক্ষা ও বিকশিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, ‘দুর্গাঙ্গন’ তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গাপুজোর শিল্পী ও কারিগররা স্থায়ী স্বীকৃতি পাবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে আরও গভীরভাবে পরিচিত হতে পারবে”।








