কৃষ্ণ সাহা
পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে কিছুদিন আগেই সুপার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডবলীলা দেখে মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। চার জেলাকে নিয়ে এই ব্যাপারে বৈঠক হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার সার্কিট হাউসে। মঙ্গলবার এর এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার,রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,, জেলাশাসক বিজয় ভারতী সহ বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকগন।
আমফানে ক্ষয়ক্ষতির পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন।তবে এখনই বলা যাচ্ছে না কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা।ধান, সব্জি, আম, ফুলের পাশাপাশি পেয়ারা, এমনকি কলাগাছেরও যে ক্ষতি হয়েছে তাও তাঁরা হিসাবের মধ্যেই রাখছেন,জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রীর অনুমান অনুসারে গোটা রাজ্যের প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে। চার জেলার সম্মিলিত বৈঠক কিভাবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।বিভিন্ন জেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব খতিয়ে দেখে প্রত্যেকটি জেলার অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আমফানের প্রভাবে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল গুলি চাষের জমিতে লবণাক্ত জল প্রবেশ করে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষের।কৃষিমন্ত্রী এবং কৃষি উপদেষ্টা উভয়েই কৃষকদের শস্যবীমা করানোর জন্য তৎপর হয়েছেন, আবেদনও জানিয়েছেন বললেন কৃষিমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক ব্লকের চাষিদের অভিযোগ যে তাঁরা শস্য বীমার ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না। সরকারিভাবে শস্য বীমা করালে ও সংশ্লিষ্ট ইনসিওরেন্স কোম্পানী তাদের ক্ষতির টাকা দিচ্ছে না।এই নিয়েন বীমা কোম্পানি থেকে তাদের বলা হচ্ছে সরকার চাষীদের জন্য যে বিমার প্রিমিয়াম দেওয়ার কথা ছিল তা দু’বছর ধরে না দেওয়ায় সমস্যায় রয়েছেন তারাও, জানিয়েছেন চাষীরা। একদিকে কৃষিমন্ত্রী চাষীদের শস্য বীমা করানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছেন অন্যদিকে সরকার টাকা না দেওয়ায় তারা ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না, কৃষকদের পাল্টা অভিযোগের তীর সরকারের দিকে।

