রায়না থানার অন্তর্গত মিলকিডাঙা গ্রামে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলো এক সিভিক ভলেন্টিয়ার।ওই সিভিকের নাম অভিষেক নন্দী।বয়স ৩৩ বৎসর। স্থানীয় সূত্রে এবং পরিবার সূত্রে জানতে পারা যায় গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে ডিউটি সেরে বাড়িতে ফেরে অভিষেক।অভিষেকের স্ত্রী বাপের বাড়ি যায় কয়েক দিন আগে। খাওয়া সেরে অভিষেক শুতে চলে যায়। মঙ্গলবার সকাল বেলায় অনেক দেরি হয়ে গেলেও অভিষেক ঘুম থেকে ওঠেনি জানতে পেরে অভিষেক কে ঘুম থেকে তুলতে গিয়ে দেখে ঘরের ভিতরে ফ্যানের মধ্যে গলায় দড়ি লাগান অবস্থায় ঝুলছে।বাড়ির লোকজন এবং পাড়া প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজা ভেঙে অভিষেক কে বাইরে নিয়ে আসে।তারপর মহেশবাটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।কর্তব্যরত চিকিৎসক অভিষেক কে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এরপর বাড়ির লোকজন অভিষেকের মৃতদেহ নিয়ে আসে রায়না থানায়। রায়না থানার পুলিশ অভিষেকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রায়না থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায় অভিষেকের বিছানা থেকে একটি সুসাইড নোট পাওয়া যায় যেটিতে লেখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। রায়না থানার বড়বাবুকে অনুরোধ করে সুসাইড নোটে অভিষেক লিখেছে স্যার আমার স্ত্রীর একটা চাকরি করে দেবার ব্যবস্থা করে দেবেন।অন্যদিকে এলাকা সূত্রে জানা যায় দু এক জায়গায় টাকা ধার করেছিল অভিষেক।সংসারেও চলছিল অভাব।
ধার নেওয়া টাকা শোধ করতে পারছিল না।অভিষেক দু এক জনকে বলেছিল এই টুকু মাইনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি।ধার করা টাকা শোধ করতে পারছি না।আর ক দিন এই ভাবে সংসার চলবে কে জানে।