আস্ত একটি ছাগল গিলে ফেলার পর আর নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না বিশাল অজগরের। ঝোপের ভেতরে শুয়ে ছিল সে। প্রথমে স্থানীয়দের নজরে আসে ঘটনাটি। মুহূর্তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জলপাইগুড়ির মালবাজারের এক চা বাগান এলাকায়। পরে বনদপ্তরের উদ্যোগে অজগরটিকে উদ্ধার করা হয়।
মালবাজার অঞ্চলের বিভিন্ন চা বাগানেই মাঝেমধ্যেই অজগরের দেখা মেলে। বনকর্মীরা অতীতেও এমন সাপকে লোকালয় থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে এদিনের ঘটনা ঘটেছে নাগরাকাটার টোন্ডু চা বাগানে। সকালে স্থানীয় এক বাসিন্দা তাঁর ছাগল চরানোর জন্য ছেড়ে দেন। সেই সময় ওই অজগর হঠাৎ ছাগলটিকে চেপে ধরে শরীরে পেঁচিয়ে ধীরে ধীরে গিলে ফেলে। বাইরে থেকেও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে ছাগলটি অজগরের শরীরের ভেতরে রয়েছে।

ছাগলটি হারিয়ে যাওয়ায় মালিক খুঁজতে গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। চা বাগানের ভেতর দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য গ্রামবাসীদের খবর দেন। সবাই গিয়ে দেখে বিশাল অজগরটি গোটা ছাগল গিলে অচল অবস্থায় ঝোপে শুয়ে আছে। স্থানীয়রা ভিড় জমিয়ে ছবি ও ভিডিও তুলতে শুরু করেন।
খবর যায় বনদপ্তরে। খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করেন। তাঁদের কথায়, অজগরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ ফুট এবং ওজন প্রায় একশো কেজির কাছাকাছি। সদ্য খাবার গিলে নেওয়ায় তার আক্রমণাত্মক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তাই চার-পাঁচজন বনকর্মী মিলে হাতে ধরেই সাপটিকে খাঁচায় ভরে নিয়ে যান। পরে সেটিকে খুনিয়া রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা শেষে অজগরটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ছাগলমালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে বনদপ্তর।