ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।কিন্তু মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল না।’ হাঁসখালির ঘটনায় সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন নির্যাতিতার মা। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে।যদিও ঘটনার দিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল রাতে, যে চিকিৎসক নির্যাতিতাকে ওষুধ দিয়েছিলেন তিনি জনিয়েছেন, নাবালিকার মা ঐদিন রাতে তাঁর কাছ থেকে পেটে ব্যথার ওষুধ নিতে এসেছিল।কিন্তু সে ওষুধ কাজে লাগেনি।কারণ, যে সময় তাঁর থেকে ওষুধ নিতে আসে তাঁর পরিবার, ততক্ষণে মারা যায় ওই নাবালিকা।এই ঘটনা সাড়া ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।
সোমবার হাঁসখালিতে নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মিলনমেলা গ্রাউন্ডের উদ্বোধন করতে গিয়ে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।মমতা বলেন, হাঁসখালির ঘটনা খারাপ। গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা মেয়ে নাকি ধর্ষিতা হয়ে মারা গিয়েছে? ধর্ষিতা বলবেন নাকি অন্তঃসত্ত্বা? শুনেছি, ছেলে-মেয়ে দুটোর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি পুলিসকে বলেছি, ঘটনাটি কী দেখতে।একই সঙ্গে মমতা প্রশ্ন তো্লেন, কেন আগে অভিযোগ জানানো হয়নি? ‘কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখন কীভাবে এর তদন্ত করবে পুলিস?’৪ এপ্রিল হাঁসখালির ওই নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। ভোরে মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। জোর করে দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও পুলিস দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ারীকে। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।