আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

নারী জাতি হলো পাখির মতো

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

নারী জাতি হলো পাখির মতো
কলমে :- সুদীপা ব্যানার্জী

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কমলাকান্তের দপ্তরে কমলাকান্ত “মনুষ্য ফল” এ নারী জাতিকে তুলনা করেছেন নারকেল সঙ্গে ।
তিনি বলেছেন ” রমণীমণ্ডলী এ সংসারে নারিকেল” । নারিকেলের জল, শস্য, মালা আর ছোবড়া এই চারটির সঙ্গে নারী জাতির স্নেহ,বুদ্ধি,বিদ্যা এবং রূপের তুলনা বর্ণনা করেছেন । যদিও এ সবই কমলাকান্তের আফিমের মাত্রা বেশি চড়া হবার ফলে এটা তার মনের আর চোখের ভাবনা মাত্র ।

কিন্তু আমি আফিমের নেশায় বুঁদ না হলেও নারী জাতির সাথে পাখির সাদৃশ্য দেখতে পাই । পাখির সাথে নারী জাতির এক অদ্ভুত মিল খুঁজে পাই ।ধরে নেওয়া যেতে পারে এটা নিছকই আমার মনের কল্পনা । যদি বলি সত্য তবে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে আমার ভালোভাবে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়বে কিনা , তাই এটাকে কল্পনার জগতে রাখাই শ্রেয়।
আমাদের সমাজে কিছু নারীদের দেখা হয় কাক ওরফে ঝাড়ুদার পাখি হিসেবে।এই সকল নারী জাতি কে রাস্তা য় ছেড়ে দেওয়া হয় জঞ্জাল সাফ করার জন্য,খেটে খাওয়ার জন্য,প্রয়োজনের দাবিতে আত্মনির্ভর করে তোলা হয় এই সমস্ত ঝাড়ুদার নারীকে।ঘৃণার চোখে,অস্পৃশ্যতার দোহাই দিয়ে তাদের হাতে ঝাড়ু ধরানো হয়।

আর এক শ্রেনীর পাখি আছে যাদের রূপ এত বেশি, তাই তাদের খাঁচার ভিতর পায়ে শিকল দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। শেখনো হয় নকল বুলি। খাঁচা জুড়ে তালা আঁটা, পাছে পাখি উড়ে যায়। আমাদের সমাজে রূপবতী নারীর অবস্থাও অনেকটা এইরকম। চুরি হবার ভয়ে তাদের ঠিক এভাবেই বন্দি রাখা হয়।হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না মেলাতে বাধ্য করা হয় । আর এক শ্রেণীর পাখি আছে যারা শিকারী পাখি
যারা নিজেদের অধিকার অবস্থান নিজেরাই ছিনিয়ে নিতে পারে ছোঁ মেরে। কিছু নারী জাতিও ঠিক এইরকম প্রতিবাদী। তারা অন্যায় সহ্য করেনা। আত্মরক্ষার তাগিদে হয়ে ওঠে তীক্ষ্ণ ও ধারালো নখ বিশিষ্ট শিকারী ।

See also  শাসকের চোখে চোখ রেখে বিজেপি প্রার্থী তালিকায় চমক আনছেন শুভেন্দু

আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ এই শ্রেনীর নারী জাতিকে মনে মনে গালিগালাজ করলেও সমাজের প্রয়োজনের দাবিতে তাদের হাতে তুলে দেয় সকল দায় ভার, মাথানত শ্রদ্ধার সাথে হাতে তুলে দেয় অসুর বধের অস্ত্র। এদের ঘাঁটাতে সাহস হয়না কারুর। তিক্ত কথা তীক্ষ্ণ নখ আর ধারালো চঞ্চুর কাছে সমগ্র পিতৃতান্ত্রিক সমাজ পরাজিত।
আর বাকি রইল কিছু ছোট খাটো সাধারণ পাখি ।

চড়াই,শালিক,ঘুঘু।
এদের না আটকে রাখা হয় আর না ভালোবাসা। এরা থাকে নিজের মনে নিজের ধ্যানে ।
এই প্রকার নারী জাতি বড়ো হতভাগিনী।
এদের জন্য শুধু বরাদ্দ অবহেলা। এদের তকমা লাগে অলক্ষ্মী অপয়ার ।
খুঁটে খাও খেটে খাও নিজের টা নিজে বোঝো।কিন্তু কারুর ঘাড়ে চেপে বসোনা ।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি