দেবীর মূর্তি গড়তে লাগে পতিতালয়ের মাটি ।কারণ লোভ- লালসা,কামনা – বাসনায় বশীভূত হয়ে পুরুষ তার সারাজীবনের অর্জিত পূণ্য ফেলে আসে পতিতালয়ে। আর কুড়িয়ে আনে পাপ। তাই সেই ফেলে আসা পূণ্য পতিতালয়ের মাটিকে করে পবিত্র ।
কবিতা- পতিতালয়ের মাটি
কলমে – সুদীপা
বল না মা তুই কুমোর কেন
আমার ঘরের মাটিতে তোকে গড়ে
আমি যে মা এক বারাঙ্গনা
দেখলে সবাই দুচোখ ঘৃণায় ভরে।
শরীর বেচে ভাত জোটে মা
আমি তো নই সাবিত্রী সতী
আমার পাপের মাটির ছোঁয়া লেগে
মা তোর যেন হয়না ক্ষতি ।
বাবুরা মুখে ছোঁড়ে টাকার গোছা
কাছে ডাকে আমায় বেশ্যা বলে
চার চৌকোর আড়ালে মা
ওরা কাপড় আমার টেনে খোলে ।
কত বেনামী সব ঔরসে মা
আমার রক্তে মাটি মাখামাখি
সেই মাটিতেই তোর মূর্তি গড়া
বল এমন লজ্জা কোথায় ঢাকি?
সব শুনে মা হেসে বলে
শোন রে আমার বোকা মেয়ে
কে বলে তুই ঘৃণ্য অশুচি
ধরায় কম দামী তুই সবার চেয়ে?
তোর শরীরটাকে ছিঁড়তে ওরা
যখন তোর ঘরেতে যায়
ওদের লম্বা জিভের লালসা যে
রোজ চিবিয়ে তোকে খায় ।
তোর ঘরেতেই অজান্তে তখন
রেখে আসে নিজের পূণ্য ওরা
তোকে ঘৃণার চোখেও ভোগ করে তাই
পূর্ণ করে নিজের পাপের ঘড়া ।
ওদের উপার্জিত পূণ্য গুলোই
তোর ঘরের মেঝেয় ঢালে
লোভ লালসায় পাপ কুড়িয়ে আনে
ওদের তিন কাল যায় একটি কালে।
তাইতো ওসব পূণ্য গুলোই
তোর ওই ঘরের মাটির পবিত্র ধন
সেই মাটিতেই সাজবো আমি
বল এমন মাটি পায়রে কজন ?
তুই বারাঙ্গনা হলেও জানিস
তোর সততাই সবচেয়ে খাঁটি
তাইতো বেটি ধরায় পবিত্র এই
পতিতালয়ের বিশুদ্ধ মাটি ।
krishna Saha
আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি