বাজি মজুতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুলিশি অভিযান। রবিবার ৪টি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৭২ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। বাজি বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন 4জন। ধৃতরা হলেন, তন্ময় বসু, অর্ধেন্দু বসু, চিন্ময় বসু এবং প্রকাশ বসু। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িরায়না থানার বোড়ো গ্রামে। পুলিসি সূত্রে খবর, তন্ময় বসু তার স্টেশনারি দোকানে প্রচুর পরিমাণ বাজি মজুত করে রেখেছিল।
কালীপুজোয় সেই মজুত করা বাজির বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তার। খবর পেয়ে তার দোকানে হানা দেয় পুলিশ। তার দোকান থেকে একটি বস্তায় রাখা ১৬ কেজি বিভিন্ন ধরণের বাজি উদ্ধার হয়। এরপর পুলিস হানা দেয় চিন্ময়ের দোকানে। দোকান থেকে বিভিন্ন ধরণের ১৭ কেজি বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে পুলিস প্রকাশের দোকানে যায়। তার দোকান থেকে ১৯ কেজি বিভিন্ন ধরণের নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়।
পরে পুলিস অর্ধেন্দুর দোকানে যায়। দোকান থেকে ২০ কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়। বাজি বিক্রির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ওই ধৃত চার জন । অন্যদিকে, খণ্ডঘোষ থানার বোঁয়াইচণ্ডী গ্রামে দীপক অধিকারীর স্টেশনারি দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। দোকান থেকে ১৮ প্যাকেট ধানি পটকা, ২ প্যাকেট রসবাতি, ৩০০টি তুবড়ি ও চকলেট বোমা বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। সিজেএম সুজিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন। উদ্ধার হওয়া বাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য আবেদন জানিয়েছে পুলিস। সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য নিের্দশ দিয়েছেন বিচারক।বলা হয় যে, জনবসতি থেকে অনেকটা দূরে সর্বসাধারণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে তবেই বাজি নিষ্ক্রিয়করনের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা বাধ্যতমূলক।