আমরা হামেশাই ব্যাংক প্রতারণা শুনে থাকি।কিন্তু এবার আর ব্যাংক প্রতারণা না ফোন পে থেকে প্রতারণা।হ্যাঁ ঠিক এমন ঘটনার স্বীকার ভদ্রেশরের 4 নম্বর তেলিনিপাড়ার শেখর সরকার।গতকাল নিজের বাড়িতে অফিসের কাজ করছিলেন।ঠিক সেই সময় একজন ফোন করে বলেন,আমি ফোন পে কোম্পানি থেকে বলছি।
আপনার 5 হাজার টাকা ক্যাশব্যাক অফার আছে,আজকের মধ্যে যদি এই অফার না নেন তাহলে রিটান চলে যাবে।এটা শুনে শেখর বাবু বলেন এটা নিতে হলে কি করতে হবে।তখন ফোনের ওপার থেকে বলেন আমরা একটা নোটিফিকেশন পাঠাবো তারপর যেমন ভাবে বলবো ঠিক সেটাই করবেন আপনি 5 হাজার টাকা ক্যাশব্যাক পেয়ে যাবেন।
ওদের কথা শুনে ফোন পে খুলে ওরা যা বলে সেটা করতেই 4 হাজার 9 শো 99 টাকা ডেভিড হয়ে যায়।এর পর আমি ফোন করে বললে আমাকে বলে সিস্টেমের ভুলে আপনা এই টাকা টা কেটে নিয়েছে আপনি আরো একবার একই ভাবে চেষ্টা করুন তাহলে এই টাকা টা পেয়ে যাবেন।
আমি ওদের কথা শুনে আবার চেষ্টা করলে আরো 4 হাজার 9 শো 99 টাকা ডেভিড হয়ে যায়।তখন আমি বুঝতে পারি এটা প্রতারণা করা হচ্ছে তারপর আমি ওদের ফোন করে বললে ওরা দেখছি বলে দ্বিতীয় বার ফোন করলে ফোন বন্ধ করে দেয়।এই ঘটনার পরে শেখর সরকার ভদ্রেশর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন আজ আমার সাথে হয়েছে কাল অন্য কারো সাথে হবে তাই পুলিশ প্রশাসন যদি সক্রিয় হয় তাহলে এই প্রতারণা চক্র হয়তো বন্ধ করা সম্ভব।শেখর বাবুর স্ত্রী জানান লকডাউনে মানুষের কাজ নেই তাঁর পর এই ভাবে প্রতারণা করলে মানুষ খাবে কি।এই ঘটনার পরে তদন্তে নামেন চন্দননগর সাইবার সেলের অফিসাররা।