আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নামে সরকারী রেশনকার্ড তৈরি করেদেবার অভিযোগে গ্রেফতার জালিয়াত

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারীদের নামে রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা যোজনার রেশন কার্ড তৈরি করেদেবার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক জালিয়াত । ধৃতের নাম সঞ্জয় মণ্ডল। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ডাঙাপাড়া গ্রামে ।বুধবার সকালে আউশগ্রাম থানার পুলিশ  ভেদিয়া রেলস্টেশান সংলগ্ন এলাকাথেকে তাকে গ্রেফতার করে ।এদিনই ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান  আদালতে  । বিচারক ধৃতের তিন দিন  পুলিশ  হেপাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন ।রেশন কার্ড  জালিয়াতি আরো কারাকারা যুক্ত রয়েছে জানতে  পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে । 
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , আউশগ্রামের 
 ছোড়া কলোনিতে বসবাস করেন  মনোজ রায় ও তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার সঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে  জাল রেশন কার্ড তৈরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন  মনোজ রায় । 
তার অভিযোগ সুমিত্রা রায় ,অসীম রায় ,
পরিমল রায় নামে ব্যক্তিরা তাঁদের  পরিবারের কেউ নয় । এমনকি তাঁদের বংশেরও কেউ নয় ।মনোজের অভিযোগ  সুমিত্রা ,পরিমল ও অসীম আদতে  বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী । মনোজ রায় জানান, ২০১৮ সালের ১১ মে ৬৩ বছর বয়সে প্রায়ত হয়েছে তাঁর বাবা মোহিম রায় । অথচ  তাঁর বাবাকে ৫০ বছর বয়সী জীবিত ব্যক্তি দেখিয়ে পরিবার কর্তা করেদেওয়া হয়েছে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারিদের  নামে তৈরি হওয়া রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার  ডিজিটাল রেশন কার্ডে ।এই জালিয়াতির বিষয়টি মনোজ রায় জানতে পারেন কিছুদিন আগে । 

অপরিচিত দু’জন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জয় মণ্ডল হাজির হন মনোজ রায়ের জেরক্সের দোকানে । মনোজ বলেন , ওই দিন সঞ্জয় মন্ডল তাঁকে বলে  খাদ্য দফতরের লোকজন  জানতে চাইলে  সে  বলেদেবে  দুই অপরিচিত ব্যক্তি তাঁদের আত্মীয় । এমনটা শোনার পর সন্দেহ হওয়ায় মনোজ অপরিচিত তিন জনের রেশন কার্ড  জেরক্স করেনেয়। এরপর ব্লকের খাদ্য দফতরে  গিয়ে সবিস্তার খোঁজ খবর নিয়ে  মনোজ নিশ্চিৎ হয় ওই তিনটি রেশন কার্ডের  মালিক অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা। এরপর মঙ্গলবায় মনোজ রায় আউশগ্রাম থানায় সঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে  । 
গ্রেফতারির পর অভিযুক্ত সঞ্জয় মন্ডল বলেন ,  ”আমি ব্লক খাদ্য দফতরের অফিসে  কাজকর্ম করি । ওই ব্যক্তিরা রেশন  কার্ডের জন্য আবেদন করেছিল বলে জানি । তবে  ওদের রেশন কার্ড কিভাবে হয়েছে তা আমার জানা নেই।সেটা অফিসের কর্তারা বলতে পারবে।”

See also  এক নজরে কৃষকসেতু নিউজ বাংলা

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি