বজ্রপাতে একই দিনে পূর্ব বর্ধমানে মৃত্যু হল পাঁচ জনের ।আহত হয়েছেন আরও চার জন ।সোমবার এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে জেলার গলসি ,খণ্ডঘোষ ও দেওয়ানদিঘী থানা এলাকায় ।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ভার করে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে মৃতরা হলেন,আমেরুল খলিফা(৩০), মসলেম চৌধুরী (৬০),বাবলু মেটে (৪৫) ,সীমা বাগ (৪৫)। দেওয়ানদিঘী থানার তালিত এলাকার এক মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি । মৃতদের মধ্যে আমেরুল বীরভূমের বাসিন্দা ।
অপর মৃত মসলেম চৌধুরী ও বাবলু মেটে গলসির বাবলা গ্রাম ও অনুরাগপুরে বাসিন্দা।মৃত সীমা বাগের বাড়ি খণ্ডঘোষের দুবরাজহাট গ্রামে । মৃত চারজন পেশায় ক্ষেতমজুর । শুধুমাত্র দেওয়াদিঘীর তালিত এলাকার ব্যক্তি এদিন দুপুরে পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরছিলেন । তখনই বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে চার ক্ষেতমজুর এদিন দুপুরে চাষের জমিতে ধান গাছ রোয়ার কাজ করছিলেন । ওই সময়ে হঠাৎতই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয় ।বজ্রপাতে গলসি এলাকার জমিতে কাজ করা চার জন জমিতেই লুটিয়ে পড়েন । তাদের উদ্ধার করে পুরসা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষনা করেন । আহত একজন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । অন্যদিকে খণ্ডঘোষের দুবরাজহাট এলাকার ক্ষেতমজুর সীমা বাগ ও তাঁর পরিবারের আপর দুজন একই সময়ে এলাকার চাষের জমিতে ধান গাছ রোয়ার কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে সীমার মৃত্যু হয় । আহত হন তাঁর পরিবারের দুই সদস্য । চিকিৎসার জন্য তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । একই দিনে জামালপুর থানার বেত্রাগড় নিবাসী ক্ষেতমজুর কবিতা মুদি (৩৮)জখম হন । তিনিও চাষের জমিতে ধান গাছ রোয়ার কাজ করছিলেন । তখনই বজ্রপাতে তিনি জখম হন। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন