প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই লগডাউন কার্যকর করতে বল প্রয়োগের পথ ছাড়লো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।লোকজনকে পিটিয়ে লগডাউন কার্যকর করার প্রচেষ্টা শিকেয় তুলে শুক্রবার সকল থেকে মানবিক ভূমিকায় পুলিশ পথে নামে ।একদিকে জেলার পুলিশ সুপার বিভিন্ন বাজারে পৌছেগিয়ে সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়িয়ে বাজার হাট করার পরামর্শ দিলেন। অন্যদিকে সিভিক ভল্যান্টিয়াররা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পৌছে গিয়ে হাতজোড় করে সবাইকে লগডাউনে সামিল হবার অনুরোধ করলেন । পুলিশের এই ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে গ্রামের মানুষজন নিজেরাই যে যার ঘরে ঢুকে পড়লেন ।

জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এদিন সাত সকালেই নিজের বাহিনী সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখেন ।সবজির দরদাম নিয়ে খোঁজখবর নেবার পাশাপাশি তিনি বাজারে উপস্থিত সকলকে নিদিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাজার করতে বললেন। কেন নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে হবে তার ব্যক্ষ্যাও জনসমক্ষে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার । একই সঙ্গে তিনি বাজারে উপস্থিত সকল মানুষ জনকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় অযথা বাড়ির বাইরে বের না হয়ে সবাই লকডাউনে সামিল হন ।
অন্যদিকে এদিনই জামালপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেই সিভিক ভল্যান্টিয়ারা
পৌছে যান জামালপুরের বিভিন্ন গ্রামে । যেখানে তারা মানুষজনকে বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েছেন । ওই সব মানুষজনের সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে সিভিক ভল্যান্টিয়াররা করনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন । একই সঙ্গে তারা গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বলেন কেন সবাইকে লগডাউনে সামিল হতে হবে । সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের এমন অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি জামালপুরের মুহিন্দর গ্রাম সহ অন্য সব গ্রামের বাসিন্দারা ।
তারা আর এক মুহুর্ত দেরি না করে যেযার ঘরে ঢুকে পড়েন ।জেলার অন্যান থানার পাশাপাশি রায়না থানার পুলিশও মানবিক ভূমিকায় পথে নেমেছে । এদিন রান্না করা খাবার নিয়ে বিভিন্ন গরিব মহল্লায় পৌছে যান পুলিশ কর্মীরা ।সেখানকার যারাই খাবার সংগ্রহ করেন তাদের লগডাউন মেনে চলার অনুরোধ করেন ওসি পুলক ঘোষ। লগডাউনের কটাদিন সমস্ত গরিব মহল্লায় দুপুরে ও রাত্রে খাবার পৌছে দেবার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রায়না থানা ।