আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

প্রতারণা চক্রে হদিশ মিলল গাড়ি

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

কৃষ্ণ সাহা ( রায়না ) :- 

সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে পুলিসে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারনা কান্ডের তদন্তে পূর্ব বর্ধমানের রায়না পুলিশের আরেকটি সাফল্য। চক্রের পাণ্ডা রাজেন হাজরা ও তার সঙ্গী দের গ্রেপ্তারের পর এবার পুলিশ তাদের ব্যবহার করা একটি দামি গাড়ি উদ্ধার করল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বর্ধমানের একটি নির্জন এলাকায় তাদের ব্যবহার করা একটি দামি গাড়ি পড়ে রয়েছে। গাড়ির বিতর থেকে ‘পুলিশ’ লেখা বোর্ড উদ্ধার হয়েছে । পুলিশ এই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু ইন্ডান ওয়েল চাকরির এডমিট কার্ড ও রেল এর এডমিড কার্ড।

দিন কয়েক আগে পুলিশ এই চক্রের হদিশ পায়। রায়না থানার ভগবতীপুরের বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য পোড়েলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি সামনে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে,
কনস্টেবল ও হোমগাের্ড চাকরি প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে রাজেন হাজরা ও তার সঙ্গীরা রায়না থানার ভগবতীপুরের বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য পোড়েলের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। তাঁকে একটি ইন্টারভিউ লেটার দেওয়া হয়।

রায়না থানার ওসি পুলক মণ্ডল তদন্তে নেমে রাজেন সহ সত্যজিৎ, নাজেম ও জানারুলকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে কনস্টেবল ও হোমগাের্ডর কয়েকটি নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়। এছাড়াও হোমগাের্ড চাকরির আবেদন ও পুলিসের স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস আরও জেনেছে, বেকার ছেলেদের কাছ থেকে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৫-৬ লক্ষ টাকা করে নেয় রাজেন ও তার দলবল।

এ পর্যন্ত ১৩ জন প্রতারিতের হদিশ পেয়েছে পুলিস। তাদের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। রীতিমতো অফিস খোলা হয়েছিল। চাকরি প্রার্থীদের অফিসে নিয়ে এসে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হত। এমনকি ব্যারাকপুরে পুলিস ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেও চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে যাওয়া হত। তবে, চাকরি প্রার্থীদের ইনস্টিটিউটের বাইরে থেকে ঘুরিয়ে আনা হত। চক্রের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগণার কয়েকজন জড়িত বলে জেনেছে পুলিস।

See also  ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ বার্তা আহমদ হাসান ইমরানের, জানালেন— আত্মত্যাগ, সহনশীলতা ও পরিচ্ছন্নতার বার্তা।

পুলিসি হেফাজতে থাকা রাজেনকে নিয়ে নান্দুরের ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়ে পুলিসের কয়েকটি পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘর থেকে খাঁকি পোশাক ছাড়াও পুলিসের বেল্ট, টুপি, জুতো, রাজ্য পুলিসের লোগো, আই কার্ড ও লাল বাজারের নকল গেট পাস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ট্রেনিং শেষে চাকরি প্রার্থীদের পোশাক দেওয়া হত। চক্রের জাল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে পুলিসের অনুমান। রাজেনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটে রহড়ার কল্যাণনগরে হানা দিয়ে চক্রের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। আকাশ কুমার সাউ নামে এই ব্যক্তি চাকরি প্রার্থীদের ব্যারাকপুর ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নিয়ে যেত।

 

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি