আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সন্দেহে গলার নলি কটে দিয়ে স্ত্রীকে খুন- গ্রেফতার স্বামী

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) :- 
স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে বলে সন্দেহ করতেন স্বামী।সেই সন্দেহের বসে গলার নলি কেটেদিয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম শ্রীমন্ত বাগদি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার সুলতানপুর গ্রামে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছে বধূর পরিবার ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে , বধূ
কানন বাগদির বাবার বাড়ি খণ্ডঘোষের গুইড় গ্রামে।বছর ১৩ আগে খণ্ডঘোষেরই সুলতানপুর গ্রামের যুবক শ্রীমন্ত বাগদির সঙ্গে কাননের বিয়ে হয়। দম্পতি নিঃসন্তান। সো
সকালে শ্বশুর বাড়ির অদূরের একটি জমিতে গলার নলিকাটা অবস্থায় পড়ে থাকে বধূ কাননের মৃত দেহ ।ঘটনা জানাজানি হতেই সুলতানপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ।
খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়,এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান , সিআই সঞ্জয় কুণ্ড,ওসি প্রশেনজিৎ দত্ত সহ অন্য পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান ।একই সময়ে ঘটনাস্থলে পৌছান বধূর বাবার বাড়ির লোকজন ।
মৃতদেহ খতিয়ে দেখে পুলিশ কর্তারা নিশ্চিৎ হন কোন আক্রোশে ধারাল কিছু দিয়ে গলার নলি কেটে বধৃকে নৃশংশ ভাবে খুন করা হয়েছে ।ওই দিনই মৃতদেহ বর্ধমান হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ এই রহস্যজনক খুনের ঘটনার তদন্তে নামে ।
বেলায় খণ্ডঘোষ থানায় পৌছে বধূর বাবা দেবু মাঝি পুলিশকে অভিযোগে জানান ,তাঁর জামাই শ্রীমন্ত বাগদি অসৎ এবং অন্যায় কাজ কর্ম করতো। স্বামীর অসৎ কাজকর্ম মনেনিতে না পেরে তাঁর মেয়ে কানন প্রতিবাদ করতো ।
তার জন্য জামাই ও মেয়েসম্পর্ক  বাড়ির
লোকজন কাননকে সহ্য করতে পারতো না ।
জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির অন্য সদস্যরা কাননের উপর নির্যাতন চালাতো। এই খুনের ঘটনা মূলত তাঁর জামাই ঘটিয়েছে ।
আর সেই কাজে শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরও মদত রয়েছে । দেবু মাঝি তাঁর জামাই শ্রীমন্ত বাগদি সহ মেয়ের শ্বশুর বাড়ির চার সদস্যের নামে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে দৃষ্টান্ত মূলক সাজারও দাবি করেন।
বধূর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওইদিন দুপুরেই শ্রীমন্তকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।জেরায় শ্রীমন্ত তাঁর স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করার পরেই রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
তদন্তে পুলিশ কর্তারা
জানতে পেরেছেন,শ্রীমন্ত সন্দেহ করতো তাঁর স্ত্রী সঙ্গে অন্য পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ।সেই সন্দেহের বসে সে নিজেই তাঁর স্ত্রীকে খুন করে বসে।
যদিও খুনের প্রকৃত মোটিভ ও খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে ৭দিন পুলিশ হেপাজতে নেবার আবেদন এদিধ আদালতে জানান । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম কল্লোল ঘোষ ধৃতকে ৫ দিন পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
See also  মুখ্যমন্ত্রী মাথার স্টিকারটা কবে খুলবেন, ভোটের আগে না পরে ? আজব জিজ্ঞাসা দিলীপের

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি