বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) :-
জাতীয় সড়কের ধারে রক্তাত অবস্থায় পড়ে ছিল অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ।
এই মৃতদেহ ঘিরে শনিবার সত সকালেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রাম এলাকায়।খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংরায়, এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান ,
সিআই শ্যামল চক্রবর্তি ,জামালপুর থানার ওসি অরুণ সোম সহ অন্য পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান ।মৃতদেহ খতিয়ে দেখে পুলিশ কর্তারা একপ্রকার নিশ্চিৎ হন ভারি ধরণের ধারালো কিছু দিয়ে মাথায় ও মুখের অংশে আঘাত করে দুস্কৃতিরা ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে । এদিনই মৃতদেহ ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে । খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , ২ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতা মুখি লেনে নবগ্রামে এলাকায় সড়ক পথের ধারে পড়ে ছিল রক্তাত মৃতদেহটি। মৃতর পরণে ছিল সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি ও খয়রি রঙের বারমুন্ডা । পুলিশের অনুমান মৃত ব্যক্তি বছর ৪৫ বয়সী হবেন । তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারা দেখতে পান মৃত ব্যক্তির মাথা ও মুখের অংশে একাধীক আঘাতের ক্ষত রয়েছে । মৃতদেহের পাশে পড়েছিল গাড়িতে বসার একটি সিট ।সেই সেটটিতেও রক্ত লেগেছিল ।
এছাড়াও মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকতে দেখাযায় শাড়ির ছেঁড়া অংশ , দুটি মাস্ক ,এক জোড়া হাওয়াই চপ্পল , একটি সাদা ও একটি হলুদ ছাপা গেঞ্জি ,কম্বল , মদের খালি পেটি ও হলদে রংয়ের একটি ত্রিপল। খুনের ক্লু উদ্ধারের জন্য এদিন পুলিশের লোকজন মৃতদেহ লাগোয়া ঝোপ জঙ্গলে অনুসন্ধান চালান । কিন্তু ঝোপ জঙ্গল থেকে মোবাইল ফোন কিংবা খুনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রের কোন হদিশ মেলেনি।মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় উদ্ধারে করতে পুলিশ জোরদার তৎপরতা শুরু করেছে ।
নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন অজ্ঞাত পরিচয় মৃত ব্যক্তি ট্রাক চালক অথবা খালাসী হতে পারেন। দুস্কৃতিরা অন্য কোথাও তাঁকে খুন করে রাতের অন্ধকারে নবগ্রাম এলাকায় দেহ ফেলে দিয়ে ট্রাক হাইজ্যাক করে নিয়ে পালিয়েছে বলেও নবগ্রামবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । নবগ্রামবাসীর এমন আশঙ্কার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুলিশ কর্তারা ।
এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন ,“মৃত ব্যক্তি কোন গাড়ির চালক ছিলেন বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে । প্রাথমিক তদন্তে এইটুকু বোঝাগেছে ভারি ধরণের ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হেয়েছে । মৃত ব্যক্তি নন বেঙ্গলী হবেন বলেই মনেকরা হচ্ছে ।”