ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ অপার্থিব ইসলাম। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনও ঐতিহ্য নেই। অথচ বিজেপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এই বিভাজনের রাজনীতি চালাচ্ছে।
অপার্থিব ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি যে ‘না খাওয়াবো, না খেতে দেব’ স্লোগান দিয়েছিল, বাস্তবে তার সম্পূর্ণ উল্টো ছবি আজ দেশের মানুষের সামনে। কালো টাকা ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন—সবই আজ প্রশ্নের মুখে। গত এক দশকের বেশি সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি বলেই তাঁর দাবি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংবিধানকে ক্রমশ দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। সংবিধানকে উপেক্ষা করে একের পর এক নীতিগত সিদ্ধান্ত, বিরোধী কণ্ঠরোধ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে দেশ শাসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে চাপ তৈরির ঘটনাও বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অপার্থিব ইসলামের বক্তব্য, “সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ও হিংসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অথচ বাংলায় ঐতিহাসিকভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থানের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বাংলার মানুষ ধর্মের রাজনীতির পরিবর্তে মানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে”।
তিনি বলেন, বাংলার ভোট মানেই উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও সহাবস্থানের পক্ষে রায়। ঘৃণা, বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে বারবার রায় দিয়েছে এই রাজ্য। তাই আসন্ন ভোটেও বাংলা ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে ঐতিহ্য, মানবিকতা ও গণতন্ত্রের পক্ষেই রায় দেবে।








