উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর: বর্তমানে এ আই নির্ভর হচছে প্রযুক্তি।আর বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত (এ আই)গবেষণা প্ল্যাটফর্ম রিসার্চারনেটের উদ্বোধন হয়ে গেল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এদিন ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ AI-চালিত সহযোগী গবেষণা প্ল্যাটফর্ম “রিসার্চারনেট” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেশ দাস।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আই এস আই এর অধ্যাপক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আই আই সির সভাপতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,এস ভি আই এস টির ডিন তথা এ আই এম টেকের প্রতিষ্ঠাতা ও সি ও সন্দীপ দত্ত, ডীব্র ফাউন্ডেশনের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর ডক্টর আসফাক আলী,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সহেলি সিনহা চৌধুরী সহ কলকাতার প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, চিকিৎসক একাধিক অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন।এই প্ল্যাটফর্মটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে।

গবেষকদের ৪০% সময় প্রশাসনিক কাজে নষ্ট হয়ে যায়।তাই রিসার্চারনেট সহযোগিতা, AI- চালিত গবেষণা সহায়তা এবং প্রকাশনা ব্যবস্থাপনাকে একটি একীভূত সমাধানে সংযুক্ত করেছে।এদিন SVIST-এর ডিন সন্দীপ দত্ত বলেন, “রিসার্চারনেট গবেষকদের কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করছে। আমরা একাধিক সরঞ্জাম ব্যবহারের জটিলতা দূর করেছি। এখন গবেষকরা যা গুরুত্বপূর্ণ তাতে মনোনিবেশ করতে পারবেন।
“ডিব্র ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডঃ আসফাক আলী বলেন,আমাদের AI গবেষণা বোঝে। এটি জ্ঞানের ফাঁক চিহ্নিত করে, সহযোগীদের পরামর্শ দেয়, জার্নালের সুপারিশ করে এবং এমনকি প্রকল্পের ফলাফলের পূর্বাভাস ও দেয়। আমরা গবেষণা বুদ্ধিমত্তা সবার জন্য সহজলভ্য করছি।জানা যায়,এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে,রিয়েল-টাইম সহযোগিতা এবং ভিডিও কনফারেন্সিং সহ একীভূত কর্মস্থান।গবেষণা নথি বোঝার জন্য “Chat with Paper” AI।
অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্র খুঁজে পেতে স্মার্ট গবেষণা ফাঁক বিশ্লেষণ।
আগ্রহ এবং দক্ষতার ভিত্তিতে সহযোগী ম্যাচিং।সম্মেলন এবং জার্নাল সুপারিশ।একীভূত চুরি সনাক্তকরণ সহ আরো অনেক কিছু।এদিন এই কৃত্রিম বুদ্ধি মত্তা চালিত গবেষণা প্ল্যাটফর্ম রিসার্চারনেট তার পথ চলা শুরু করলো।আর এই গবেষণা ছাত্র ছাএীদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের বহু মানুষের কাজে লাগবে বলে দাবী করেন গবেষকরা।








