এসআইআর-কে কেন্দ্র করে এক ধরণের অত্যাচার শুরু হয়েছে। এসআইআর আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম কাজে চারটি আধমরা অবস্থায় বিডিও ও বিভিন্ন জেলা থেকে খবর এসেছে—অনুসন্ধান শুরু হতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে একজনের সেরিয়াস হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। তিনি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ। কমিশন বিষয়টি নজরে এনে কাল থেকেই সক্রিয় হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর প্রসঙ্গে মুখ খুলে বলেছেন—যে কাজ দু’বছর ধরে হওয়ার কথা, তা দু’মাসে করার ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে বাধ্য। ঘটনাও সেটাই হয়েছে। এরপর তৎপরতা বাড়িয়েছে প্রশাসন। নিছক তাড়াহুড়ো করে নাম ভুল ধরা, ঠিকানা সন্দেহজনক করা, যাঁদের নাম থাকার কথা তাঁদের বাদ দেওয়া—এসব ভুলের অভিযোগে কমিশনের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে।
এমনকি একই ভোটার বন্ডি থাকলে তার দাম নিতে হচ্ছে কমিশনকে। এই কারণেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ নির্বাচন কমিশনারের চিঠি পেয়ে তুঙ্গে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গকে আবার ‘সার’ চালাচ্ছে—বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বিরোধী ও নাগরিকদের ওপর অত্যাচারিত প্রক্রিয়ার প্রতিবিধানে। মুখ্যমন্ত্রীও সতর্ক করেছেন—এই পরিকল্পনাহীন কাজের চাপে মৃত্যু আরও বাড়তে পারে। যত দ্রুত সম্ভব ভুল সংশোধন করতে হবে কমিশনকে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এসআইআরের এই অপারিকল্পিত কার্যক্রমে মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই বিপন্ন হয়ে পড়েছে।পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ অপার্থিব ইসলামের অভিযোগ, “SIR প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বৈধ ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার একটি ষড়যন্ত্র চলেছে। তাদের আশঙ্কা, এটি আসলে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) বাস্তবায়নের গোপন প্রচেষ্টা”।
অপার্থিব ইসলাম আরও জানান, “এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বিশাল প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘোষণা করেছেন। একজন বৈধ ভোটারকেও যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে আমরা একত্রিত হয়ে দিল্লিতে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো”। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তাঁর দাবি, SIR–এর ফলে রাজ্যে ভয় ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রভাব হিসেবে হৃদরোগে মৃত্যু ও আত্মহত্যাসহ বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে।
অপার্থিব ইসলামের বক্তব্য, এই মৃত্যুগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন (ECI)–ই সম্পূর্ণভাবে দায়ী।








