আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

বিএলএ নিয়োগের নিয়মে বড় পরিবর্তন, কমিশনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃণমূল — ‘বিজেপির ইশারাতেই সিদ্ধান্ত’ অভিযোগ

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে যখন SIR প্রক্রিয়া জোরকদমে চলছে, তখনই নির্বাচন কমিশন বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ নিয়োগের নিয়মে আনল বড় পরিবর্তন। বিএলএ সম্পর্কিত ২০২৩ সালের গাইডলাইন সংশোধন করে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের দাবি, ‘বিজেপির ইশারাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’

আগে নিয়ম ছিল, কোনও বুথের বিএলএ হিসেবে দায়িত্ব নিতে হলে তাঁকে সেই বুথেরই বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, এখন থেকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা হলেই বিএলএ হিসেবে কাজ করা যাবে। সেই সঙ্গে ওই এজেন্ট সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের খসড়া ভোটার তালিকা পরীক্ষা করে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম চিহ্নিত করার ক্ষমতাও পাবেন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিরোধী শিবির যেখানে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল, সেসব এলাকায় যাতে সব বুথে এজেন্ট নিয়োগ সম্ভব হয়, সেটাই এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য।

নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, “নির্বাচন কমিশন খুব ধূর্ততার সঙ্গে বিএলএ নিয়োগের নিয়ম বদলে দিয়েছে। এখানে একটা বড় প্রশ্ন উঠে যায়, নিয়ম অনুযায়ী বিএলও-দের সংশ্লিষ্ট বুথের বাসিন্দা হতেই হবে, তাহলে বিএলএদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন? কারণ বিজেপি বুথে বুথে এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না। তাই বহিরাগতদের এজেন্ট হিসাবে আনতে চাইছে।” তৃণমূলের আরও দাবি, যে নির্বাচন কমিশন একসময় স্বাধীনভাবে কাজ করত, তারা এখন কার্যত বিজেপির ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএলও-রা প্রায় সাড়ে ছ’কোটি ফর্ম বিলি করেছেন, যা মোট ভোটারের প্রায় ৮৩ শতাংশ। ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভোটার অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত দেড় লক্ষের কাছাকাছি বিএলএ-২ ফর্ম জমা পড়েছে। এর মধ্যে তৃণমূলের সংখ্যা সর্বাধিক — ৫৪ হাজার ১৪৯, বিজেপির ৪৮ হাজার ২৩, সিপিএমের ৩৫ হাজার ৬৮৬ এবং কংগ্রেসের ১০ হাজার ১২৪।

See also  কলতলায় ঝগড়া করার মতো তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে,পূজো দিয়ে বললেন সৌমিত্র খাঁ

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করছে, বিরোধী শিবির অনেক জায়গায় সংগঠনের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। প্রথমদিকে তৃণমূলের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি