আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

চা ও বিস্কুটের দাম চাওয়ায় চায়ের দোকানির মাথায় বাঁশের বাড়ি- মৃত্যু দোকানদারের- গ্রেপ্তার খরিদ্দার

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ৫ নভেম্বর: চায়ের দোকানির দোওয়া বিস্কুট ভালো লাগে নি। তা নিয়ে বচসা চলা কালীন ওই চায়ের দোকানির মাথায় সজোরে বাঁশের বাড়ি বসিয়ে দেয় খরিদ্দার। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার খালেরপুলে। মারাত্মক জখম অবস্থায় চায়ের দোকানিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।বুধবার ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় চায়ের দোকানির।পুলিশ অভিযুক্ত খরিদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ফরিদ আলি শেখ (৫০)।তাঁর বাড়ি রায়নার মাছখান্ডা গ্রামে। খালেরপুল এলাকায় রয়েছে তাঁর চায়ের দোকান।তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারা জেনেছেন ,প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও
ফরিদ আলির চায়ের দোকানে চা খেতে যায় স্থানীয় বেলসর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি হোসেন মোল্লা। তিনি চায়ের সঙ্গে বিস্কুটও খান। কিন্তু দোকানির দেওয়া বিস্কুট খেতে ভালো লাগেনি বলে অজুহাত এনে হোসেন মোল্লা দাম দিতে অস্বীকার করেন। তা নিয়ে দোকানদার এবং ওই গ্রাহকের মধ্যে বচসা বাঁধে। সেই সময়ে দোকানে উপস্থিত থাকা অন্য লোকজন বিষয়টি মিটমাট করে দেন। তখনকার মত হোসেন মোল্লা দোকান থেকে চলে যান।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ফের ওই দোকানে পৌছে যান হোসেন মোল্লা। অভিযোগ ,একই প্রসঙ্গ সামনে এনে চায়ের দোকানির সঙ্গে পুণরায় বচসা শুরু করে হোসেন।বচসা চালা কালীন বাঁশ দিয়ে ফরিদ আলিকে বেধড়ক মার মারা শুরু করে হোসেন মোল্লা। এমনকি তিনি ফরিদ আলির মাথাতেও বাঁশের বাড়ি মারেন বলে অভিযোগ ।মারধোরে জখম হয়ে ফরিদ দোকানেই লুটিয়ে পড়েন।তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে বামচান্দাইপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফরিদকে বর্ধমানের নবাবহাটের কাছে অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। বুধবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

See also  দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাস্তার বেহাল দশা, ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাস্তায় ধানগাছ রোপন করে বিক্ষোভ গ্রামবাসী দের

মৃত ফরিদ শেখের ছেলে সেখ সৈয়দ আহমেদ এদিন বলেন,প্রায় প্রতিদিনই সকালে বাবার কাছে চা খেতো পেশায় রাজমিস্ত্রী হোসেন মোল্লা ।কিন্তু নানা অছিলায় তিনি চায়ের দাম মেটাতেন না । একই ভাবে মঙ্গলবার সকালেও চা খেয়ে দাম না দিয়েই হোসেন মোল্লা চলে যাচ্ছিল।দাম না দেওয়ায় তাঁর বাবার সঙ্গে হোসেনের ঝামেলা হয়। তখন স্থানীয়রা ঝামেলা মিটিয়ে দেয়।কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফের দোকানে এসে তাঁর বাবার উপর চড়াও হয় হোসেন । তিনি বাঁশ নিয়ে তাঁর বাবার মাথায় সজোরে মারেন।হিজলনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান “শেখ আইনাল বলেন, “বহুদিন ধরে চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছিলেন ফরিদ আলি শেখ।মঙ্গলবার সকালে ওই চা খেতে আসা খরিদ্দারের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে।খরিদ্দারবাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
তাতেই চায়ের দোকানি ফরিদ আলির মৃত্যু হয়।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি