অভিষেক শর্মার আগুনঝরা ব্যাট অব্যাহত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিক ম্যাচেও তাঁর ব্যাটিংয়ে চার-ছক্কার বন্যা। একেবারে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেন বাঁহাতি এই ওপেনার। শুধু প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা নয়, এশিয়া কাপে নতুন মাইলস্টোনও স্পর্শ করলেন তিনি। এখন তিনি হয়ে উঠেছেন টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের ম্যাচটির কোনও বিশেষ তাৎপর্য ছিল না। কারণ ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। শ্রীলঙ্কার আর সেই সুযোগ ছিল না। তবে আলোচনায় উঠে আসেন কেবল অভিষেক। ওপেনিংয়ে শুভমান গিল মাত্র ৪ রান করে ফিরলেন। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (১২) আবারও ব্যর্থ। যা চিন্তার বিষয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। কিন্তু অন্য প্রান্তে দৃঢ় ছিলেন অভিষেক।

তিনি খেলেন ৩১ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস, ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৬.৭৭। তাঁর ব্যাট থেকে আসা রানের দৌলতে ভারতীয় স্কোর দ্রুত ১০০ ছুঁয়ে যায়। এশিয়া কাপে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ পেরোয় ৩০০— মোট ৩০৯ রান। ফলে এই আসরে তিনি এগিয়ে গেলেন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ানের ২০২২ সালের ২৮১ রানের রেকর্ডকেও। একইসঙ্গে সবকটি টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ মিলিয়ে একটি সংস্করণে সর্বাধিক রানও এখন তাঁর দখলে। শুধু তাই নয়, একক কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছেন অভিষেক। সামনে এখনও ফাইনাল বাকি, সেখানে রান পেলে রেকর্ড বইয়ে আরও নতুন সংযোজন হতে পারে।
অভিষেকের আউট হওয়ার পরও রান তুলতে থাকেন সঞ্জু স্যামসন ও তিলক বর্মা। যদিও তাঁদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চলছে নানা পরীক্ষা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিলক মাত্র ৭ বল খেলেছিলেন, সঞ্জু পাননি সুযোগ। তবে শ্রীলঙ্কার ম্যাচে সঞ্জুর ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান, আর তিলক অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে। শেষে অক্ষর প্যাটেলও দ্রুত ২১ রান করেন। এরই মাঝে দুষ্মন্ত চামিরা দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়াকে। এদিন লঙ্কানরা একাধিক অসাধারণ ক্যাচ ধরে আলোচনায় থাকলেও ভারত শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২০২ রান তুলতে সক্ষম হয়।