চতুর্থী (Chaturthi 2025) থেকেই মেঘাসুরকে হারিয়ে জয় পেল দুর্গাবাহিনী। রোদ ঝলমলে আবহাওয়ার মাঝেই ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভিড় জমল রাস্তায়। শুক্রবার ছিল বেশিরভাগ অফিসে শেষ কাজের দিন। কারণ শনিবার চতুর্থ শনিবার— কোথাও পূর্ণ ছুটি, কোথাও অর্ধদিবস। তার সঙ্গে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে পুজোর (Durga 2025) আমেজ। ফলে এদিন অফিস শেষে সবাই ঘরে ফিরতে চাইতেই তীব্র যানজটে বিপাকে পড়তে হয় কর্মজীবীদের। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীর ঢল এবং শেষ মুহূর্তের বাজার করতে বেরোনো ভিড়ে যানজট তৈরি হয়। ফলে বাসে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়, টালা সর্বজনীন, বাগবাজার, শোভাবাজার, আহিরীটোলা, শ্রীভূমি, কুমারটুলি, দর্পনারায়ণ রায় স্ট্রিট, লোহাপট্টি, কলেজ স্কোয়ার, বিবেকানন্দ রোড, শিয়ালদহ— প্রায় সব জায়গায়ই ছিল সপ্তমীর মতো ভিড়। আবহাওয়া দফতরের (Weater Office) সতর্কবার্তা মাথায় রেখে প্যান্ডেল হপিং জমজমাট হয়। অন্যদিকে দক্ষিণের বেহালা-ঠাকুরপুকুর থেকে সুরুচি, চেতলা অগ্রণীর মতো জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপেও জনসমাগম ছিল উপচে পড়া। অফিসের কাজ শেষ করে অনেকে ঠাকুর দেখতে বেরোনোয় আরও বেড়ে যায় ভিড়। ধর্মতলা, নিউ মার্কেট, লিন্ডসে স্ট্রিট, শ্যামবাজার-হাতিবাগান— সব জায়গাতেই কেনাকাটার ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত যানজটে অচল হয়ে থাকে রাস্তা। তার সঙ্গে যোগ হয় বাস কমে যাওয়ার সমস্যা। যানজটের আশঙ্কায় অনেক বাস রাস্তায় নামেনি, আবার পুলিশের নির্দেশে অনেক রুটের বাসস্ট্যান্ডও বদলানো হয়।

শুধু বাস নয়, বহু জায়গায় দুপুরের পর থেকে অটো চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। এর ফলে স্বাভাবিক অটো না চলায় যাত্রীরা আরও বিপাকে পড়েন। তীব্র ভিড় সামলাতে অনেকে বাসের পরিবর্তে মেট্রো ধরতে চাইলে সেখানেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক অফিসযাত্রী হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরতে না পেরে একের পর এক শিডিউল ট্রেন মিস করেন।
সব মিলিয়ে ভ্যাপসা গরম, যানজট আর ভোগান্তির মধ্যেই প্রতিবারের মতো এবারেও দুর্গাপুজোর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ পরাস্ত হল মেঘাসুর বাহিনী।