এশিয়া কাপকে ঘিরে হ্যান্ডশেক বিতর্ক ক্রমেই নতুন মাত্রা পাচ্ছে। পাকিস্তান এমনকি ম্যাচ বয়কটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। উত্তপ্ত আবহের মাঝেই মঙ্গলবার দুবাইয়ে একই ভেন্যুতে অনুশীলনে নামে ভারত ও পাকিস্তান। তবে সূত্রে জানা যাচ্ছে, সূর্যকুমার যাদবদের পাক নেট বোলারদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়মও চালু করা হয়েছে।
রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচের পর থেকেই বিতর্ক ঘনীভূত। পিসিবি অভিযোগ তোলে যে ভারতীয় বোর্ডের নির্দেশেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট। তবে বিসিসিআই পালটা জানায়, “ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক করার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।” শুধু তাই নয়, পিসিবি সরাসরি ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে আইসিসি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনে। সবমিলিয়ে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে।

এই পরিস্থিতিতেই আইসিসি অ্যাকাডেমিতে প্র্যাকটিসে নামে দুই দল। সলমন আলি আঘারাদের দেখা যায় হালকা ফুটবল খেলতে, আর কিছুটা দূরে পূর্ণোদ্যমে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন ভারতীয়রা। শুভমান গিল ও অভিষেক শর্মা ব্রঙ্কো রান করলেও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়নি বলে সূত্রের দাবি। তবে ভারতীয় দলের পরের দিনের অনুশীলন ও সাংবাদিক বৈঠক আচমকাই বাতিল করা হয়।
আইসিসি অ্যাকাডেমির নেট বোলারদের ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ম চালু হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বোলার এখানে অনুশীলন করলেও এবার পাকিস্তানিদের জন্য বিশেষ কড়াকড়ি করা হয়েছে। অতীতে যেমন ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের নেট বোলার ছিলেন পাক পেসার হ্যারিস রউফ, তখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা সহজেই তাদের সঙ্গে মিশতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় খেলোয়াড়দের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—’পাক নেট বোলারদের থেকে দূরে থাকতে হবে।’ এমনকি তাদের ফোনও আলাদা করে জমা রাখতে হচ্ছে, যাতে তারা কোনও ছবি তুলতে না পারেন।