আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

এক মাস বিয়ে হয়েচছে-হাতের নোয়া খোলার ফরমান মানতে না চেয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রেপরিবাদে সরব পরীক্ষার্থী

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান, ১৪ সেপ্টেম্বর: হাতের ’নোয়ার’ ধার্মিক মূল্যের কাছে শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষা যেন তুচ্ছ ! রবিরার পূর্ব বর্ধমানের কালনার হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকতার(SSC) চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে সেই মতের প্রকাশ ঘটালেন বধূ মনীষা সিকদার। হাতে থাকা ধাতব নোয়া খুলে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার ’ফরমান’ তিনি মানতে অস্বীকার করেন। এমনকি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে মনীষা স্পষ্ট জানিয়ে দেন,“মাত্র এক মাস হল তাঁর বিয়ে হয়েছে।শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হাতের নোয়া খুলবেন নাা,পরীক্ষাও দেবেন না বলে মনীষা শিকদার প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন। শিক্ষকতার চাকরি পরীক্ষার্থী একজন বধূর মুখ থেকে এমন মন্তব্য শুনে পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা সকলেই হতবাক হন।

স্বামীর মঙ্গল ও দীর্ঘায়ুু কামনায় হাতে শাখা-পলা ও ধাতব নোয়া পরে থাকেন হিন্দু বধূরা।দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি যেমন ঘটেছে,তেমনই ঘটেছে শিক্ষার বিস্তার। তবুও শাখা,পলা ও নোয়ার প্রতি বিবাহিত মহিলাদের আস্থা ও বিশ্বাসে যেন ভাটা পড়ে নি।তারই প্রকাশ এদিন মেলে কালনার হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে। শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষা দিতে অনেক মহিলা ও বধূ এদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই পরীক্ষাকেন্দ্রে সামণে জড়ো হন। সেখানে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে পরীক্ষার্থী বধূরা জানতে পারেন,’পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হলে তাঁদের হাতে থাকা নোয়া খুলে ফেলতে হবে ।তবেই তাঁরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন’।এমনটা জেনে বিবাহিত অনেক পরীক্ষার্থী প্রথমে আপত্তি তুললেও পরে তাঁরা নোয়া খুলে রেখেই পরীক্ষায় বসেন। ব্যতিক্রম ঘটানা শুধুমাত্র মনীষা সিকদার।

কালনা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে এদিন মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩৯৭ জন ।তার মধ্যে শুধুমাত্র মনীষা সিকদার তাঁর হাতে থাকা নোয়া খুলতে অস্বীকার করে তীব্র প্রতিবাদ জুড়ে দেন। হাতথেঈে নোয়া না খোলার সিদ্ধান্তেও তিনি অনড় থাকেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে মনীষা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,’একমাস হল আমার বিয়ে হয়েছে। আমার হাতে নোয়া আছে। পরীক্ষা দেওয়ার সঙ্গে হাতের নোয়ার কি সম্পর্ক আছে ,যে নোয়া খুলে রেখে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে ? আমি আমার হাত থেকে নোয়া খুলবো না,পরীক্ষাও দেব না।”যদিও কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফাল্গুনী মল্লিক জানান,’এরকম অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি’। তবে প্রধান শিক্ষিকা কোনও অভিযোগ না পাওয়ার কথা বললেও ’নোয়া’ বিতর্ক ঘিরে নিরাপত্তা বিধি ও সামাজিক বিশ্বাসের ভারসাম্য নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

See also  কোচবিহারে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঁচ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হলো

কালনার মহকুমা শাসক(SDO)শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন,“কেউ পরীক্ষা দিতে পারেনি ,আমি বলতে পারবো না । তবে ধাতব নোয়া হাতে থাকা মহিলা পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে চাওয়া নিয়ে এদিন সকালে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অসন্তোষ ছড়ায়।এরপর বিষয়টি নিয়ে রিজিওনাল এসএসসি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ,তারা হাতে নোয়া থাকা মহিলাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেসে কোনও বাধা না করার কথা জানান। তার পর সবাইকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।“

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি