প্রায় দেড় বছর ধরে ঐশ্বর্য রাই ও অভিষেক বচ্চনের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে নানা জল্পনা চলছে। কখনও বিচ্ছেদের খবর, আবার কখনও পারিবারিক অশান্তির গুঞ্জন। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের সুখী সংসারের ছবি। কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত অধিকারের সুরক্ষার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ঐশ্বর্য। আর এবার একই কারণে আদালতের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বচ্চনও।
আসলে কী অভিযোগ তুললেন অভিষেক? বলিউড সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর ছবি যেন কোনও ওয়েবসাইট বা বিজ্ঞাপনে বিনা অনুমতিতে ব্যবহার না হয়—এমনই আবেদন করেছেন তিনি। গ্ল্যামার দুনিয়ার অনেক তারকাই ডিপফেক-এর শিকার হচ্ছেন। অভিষেক-ঐশ্বর্যও ব্যতিক্রম নন। অভিনেতার অভিযোগ, তাঁদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করে অশালীন কন্টেন্টে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণেই আইনি পদক্ষেপে নেমেছেন জুনিয়র বচ্চন।

অভিষেকের আইনজীবী প্রবীণ আনন্দ আদালতে জানান, বিজ্ঞাপনে বিনা অনুমতিতে অভিষেক বচ্চনের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর ভিডিও, এমনকি স্বাক্ষরও অবৈধভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। এর ফলে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং বড় বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই একাধিক ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অভিনেতা।
অন্যদিকে, সম্প্রতি ঐশ্বর্য অভিযোগ করেন, তাঁর ছবি ব্যবহার করে কফি মগ, টি-শার্টের মতো নানা সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়ো অন্তরঙ্গ ছবি বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতে জমা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। অভিনেত্রীর দাবি, এই ধরনের কাজে তাঁর ছবি যাতে আর ব্যবহার না হয়, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
উল্লেখ্য, এর আগেও এমন সমস্যায় পড়েছিল বচ্চন পরিবার। গত নভেম্বরে অমিতাভ বচ্চনের নাম ও কণ্ঠস্বরও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই সময় তিনিও দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। পরে আদালত তাঁর ছবি ও কণ্ঠস্বর ব্যবহারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করে।