আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

‘গোপাল পাঁঠাকে নায়ক দেখিয়েছি’, শান্তনুর নোটিসে জবাব বিবেক অগ্নিহোত্রীর

krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now

ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। তাঁর রাজনৈতিক থ্রিলারকে ঘিরে দেশজুড়ে চলছে জোর চর্চা। অভিযোগ উঠেছে, ছবিতে নাকি বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছে বাংলার ইতিহাস। পাশাপাশি ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের জন্য প্রোপাগান্ডা সিনেমা বানাচ্ছেন তিনি—এমন অভিযোগও উঠেছে। ১৯৪৬ সালের ‘গ্রেটার ক্যালকাটা কিলিং’-এর সময়কার কুখ্যাত চরিত্র গোপাল মুখোপাধ্যায়কে ‘কষাই গোপাল পাঁঠা’ হিসেবে উপস্থাপন করায় ক্ষুব্ধ বাংলার একাংশ। সর্বত্রই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই বউবাজার থানায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। শুধু তাই নয়, গোপালের উত্তরসূরি শান্তনু মুখোপাধ্যায় আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন পরিচালকের কাছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষের উদ্দেশে ব্যাখ্যা দিতে সামনে এলেন অগ্নিহোত্রী।

সোমবার দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরিচালক জানান, গোপাল মুখোপাধ্যায়কে তিনি ছবিতে নায়কোচিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। দাবি করেন, ইতিহাসের দলিল ও সাক্ষাৎকারের অংশ থেকেই নেওয়া হয়েছে ছবির উপাদান। এরপর রাজনৈতিক প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। বিবেকের অভিযোগ, “গোপাল মুখোপাধ্যায়ের নাতি শান্তনু তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। আর সেই কারণেই তিনি এফআইআর দায়ের করেছেন।” পাশাপাশি পালটা আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

তবে এখানেই থামেননি পরিচালক। অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কেও মুখ খোলেন তিনি। শাশ্বত অভিযোগ করেছেন, “শুটিং চলাকালীন ছবির নাম ছিল ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’। পরে কাজ শেষ হওয়ার পর আমি জানতে পারি নাম পালটে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ রাখা হয়েছে।” এর উত্তরে বিবেকের দাবি, “গোটা ছবিটাই বাংলার প্রেক্ষাপটে। ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবিতে মুর্শিদাবাদের এক বিধায়কের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। তবে নেতিবাচক রোলে। নামটা অনেক আগেই পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন পোস্টার টিমের সব অভিনেতাদের পাঠানো হয়েছিল। সকলেরই পছন্দ হয়েছিল। তাই আজ কোনও অভিনেতা ‘জানেন না’ বলে নতুন দাবি নিয়ে এলে আমার কিছু বলার নেই। শাশ্বত ভারতের অন্যতম সেরা অভিনেতা। খুব ভালো অভিনয়ও করেছেন। ও জাতীয় পুরস্কারও পেতে পারে এই ছবির জন্য।”

See also  কর্মীসভায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মদন মিত্র, বললেন—‘৪০ শতাংশ চাকরি পেয়েছে তৃণমূল আমলে’।

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি