পদপিষ্ট কাণ্ডের তিন মাসের মধ্যে কর্নাটক সরকার এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেঙ্গালুরুর নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বোম্মাসান্দ্ররার সূর্য সিটির স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই স্টেডিয়ামের জন্য ১৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা হবে ৮০ হাজার, যা গুজরাটের ‘নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম’ এর পর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম হবে। বেঙ্গালুরুর দক্ষিণে ইতিমধ্যে ১০০ একর জমি কর্নাটক হাউজিং বোর্ডের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি শুধু ক্রিকেটের জন্য নয়, ইনডোর ও আউটডোর মিলিয়ে মোট আট ধরনের খেলার জন্য সুযোগ দেবে। পাশাপাশি, এই স্টেডিয়ামের আওতায় জাতীয় ক্রীড়া একাডেমিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অন্যদিকে, ‘চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম’ এর ধারণক্ষমতা মাত্র ৩৩ হাজার। কোহলিদের আইপিএল জয়ের উদযাপনে সেখানে দুই-তিন লক্ষাধিক মানুষ প্রবেশের চেষ্টা করলে ছোট দরজা ভেঙে পড়ে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যায়নি এবং ন্যূনতম ব্যবস্থাপনা ছিল না। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর মতো অ্যাম্বুল্যান্সও ছিল অনুপস্থিত। এই সমস্ত পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সিদ্দারামাইয়া সরকার একটি বড় দর্শকাসনের স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র কর্নাটক নয়, গুজরাটের ‘নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম’ কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আরও দুটি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ চলছে। তার মধ্যে একটি মুম্বইয়ে এমসিএ-র অধীনে, আরেকটি অন্ধ্র প্রদেশের অমরাবতীতে। অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ার পরিকল্পনা করেছে।
Ask ChatGPT