সোনার বাংলার গর্ব ড. তারুণ পাল আবারও প্রমাণ করলেন যে সীমান্ত নয়, মেধা ও উদ্ভাবনই পারে বিশ্বকে ছুঁতে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার জহর রাজ্যে আয়োজিত একটি রাজ্যস্তরীয় STEM ও ইকোসিস্টেম শিক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে ড. পাল অতিথি বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অসামান্য বক্তৃতা প্রদান করেন, যা শুধুমাত্র শিক্ষাবিদ বা শিক্ষার্থীদের মন ছুঁয়ে যায়নি—তা ছুঁয়ে গেছে গোটাবিশ্বের শিক্ষানুরাগীদের হৃদয়ও।


এই আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল ইভেন্টে মালয়েশিয়ার ১৮টি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে প্রায় ৩৫০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার মঞ্চে বাংলার এই দীপ্ত আলো ছড়িয়ে পড়ে হাজারো পর্দার ওপারে।

ড. পালের বক্তব্যের শিরোনাম ছিল—
🎙️ “Environmental Education Through Online Learning”,
যেখানে তিনি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেন কীভাবে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তির সহায়তায় একটি সবুজ পৃথিবীর দিকে পরিচালিত করা সম্ভব।

SEKOLAH KEBANGSAAN KAMPONG CHAMEK, জহর, মালয়েশিয়া এই সম্মেলনের মূল আয়োজক। ইভেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা Puan Padilah Binti Shahran, যিনি ব্যক্তিগতভাবে ড. পালের উপস্থিতি ও বক্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখযোগ্য ছিল মাননীয় সান্তাসেকারণ সুব্রমানিয়াম-এর স্নেহময় উপস্থিতি ও সমন্বয়।
ড. পাল বলেন—
“এই রকম একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষামঞ্চে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা শুধু পুঁথিগত জ্ঞান নয়, এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন। STEM ও পরিবেশ শিক্ষা মিলিতভাবে আগামী প্রজন্মকে একটি সুশৃঙ্খল ও টেকসই সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।”

ইভেন্টটি Google Meet-এর মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়, এবং বহু স্কুলে Smart TV-এর মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং করে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এই সাফল্য কেবল একজন ব্যক্তির নয়, এটি বাংলা, ভারত, এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত শিক্ষানুরাগী মানুষের সাফল্য। ড. পালের এই অসামান্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলা ও ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।