‘
কৃষকসেতু, কলকাতা:- ‘যার বাজারে দাম থাকে তাকেই নিয়ে চর্চা হয়’ — রাজ্য বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ। দলের অন্দরে তাঁকে ঘিরে চলতে থাকা নানা জল্পনার মধ্যেই এদিন শমীকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপরই সাংবাদিকদের সামনে একাধিক বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বাজারে যার দাম থাকে, তার সেল হয়। যাদের দাম নেই, তারা রাস্তায় পড়ে থাকে। দিলীপ ঘোষের দাম আছে, দাম থাকবে। আমি সেলেবেল নই”। পাশাপাশি তিনি শমীক ভট্টাচার্যের প্রশংসা করে জানান, এক সময় শমীকদার সঙ্গেই তিনি রাজনীতির পথ চলা শুরু করেছিলেন। বলেন, ‘‘নতুন ও পুরনো কর্মীদের মিলেই দল আজ এই জায়গায় এসেছে। আমাদের লড়াই চলবে”।
বিজেপি ছাড়ার গুঞ্জন এবং ২১ জুলাই তৃণমূলের মঞ্চে তাঁর দেখা যেতে পারে— এই সমস্ত জল্পনা প্রসঙ্গে দিলীপ স্পষ্ট জানান, তিনি দলের সঙ্গেই রয়েছেন। বলেন, ‘‘আবেগ দিয়ে পার্টি গড়েছি। ঘাম-রক্ত দিয়েছি। ১৫০ জনের বেশি কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। সেই আবেগের আগুন বুকের মধ্যে জ্বলছে। যতই বৃষ্টি হোক, তা নিভতে দেব না”।
তবে কেন বিভিন্ন পার্টি কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না? এর জবাবে দিলীপ বলেন, “আমি রাজ্য স্তরের পদে নেই। তাই সব জায়গায় আমায় ডাকা হবে, এমনটা নয়। আমি জেলার দায়িত্বে রয়েছি, সেখানে সংগঠনের কাজ করছি”।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে যাওয়া এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও দলের মধ্যে বিতর্ক দানা বাঁধে। কিন্তু দিলীপ ঘোষ সেসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
রাজ্য বিজেপিতে আদিকর্তা ও নবাগতদের মধ্যে সেতুবন্ধনের বার্তা দিয়ে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দিনই শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে দলকে বদলে দেবেন।
সম্ভবত দিলীপ-শমীক বৈঠক সেই অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনে কিছুটা হলেও ইতি টানল।