কর্তব্যরত পুলিশ কর্মিদের সিঁদুর পরানোয় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মিদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল পুলিশ।মঙ্গলবার চুঁচুড়া থানায় হাজিরা দিয়ে নোটিশ মেনে চলার সম্মতি(কমপ্লাই) জানিয়ে আসেন ছয় বিজেপি নেতা কর্মি। গত ৩০শে মে চুঁচুড়ার পিপুলপাতি পাঁচমাথা মোড়ে বিক্ষোভ অবরোধ করে বিজেপি কর্মি সমর্থকরা।প্রধানমন্ত্রীর অপারেশন সিঁদুর বক্তব্যের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার প্রতিবাদে ছিল সেই আন্দোলন। সেদিন অবরোধ সরাতে গেলে কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মিদের কপালে গালে সিঁদুর লেপে দেয় বিজেপি কর্মিরা।যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরী হয় রাজ্য জুড়ে। ঘটনার পরদিন চুঁচুড়া থানার পুলিশ ছয় বিজেপি নেতা কর্মির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে।নোটিশ ধরানো হয় বিজেপি হুগলি সংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ,হুগলি মহিলা মোর্চার সম্পাদক অরূপা সামন্ত সহ মহিলা কার্যকর্তা শংকরী হালদার, কণিকা মিস্ত্রি, রাজশ্রী রায় চক্রবর্তী ও জুই পান্ডেকে।মঙ্গলবার ছয় জনই চুঁচুড়া থানায় গিয়ে নোটিশ কমপ্লাই করেন।
তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৮৯(২)/২২১/১২৬(২)/২৮৫/১৩২/৩৫১(২) ধারায় মামলা রুজু হয়।যদিও বিজেপি কর্মিদের দাবী,তারা সিঁদুরের অপমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।মহিলা পুলিশ কর্মিদের জোর করে সিঁদুর পরানো হয়নি।ইতি মধ্যে আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,থানায় হাজিরা না দিলে গ্রেফতার করবে বলছে পুলিশ।তাই আমরা হাজিরা দিয়ে নোটিশ কমপ্লাই করেছি।অনুব্রত মন্ডল পুলিশ অফিসারকে হুমকি দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই।পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে।তাদের ভাবা উচিত ডিএ বাকি আছে তাদেরও।আমি সিঁদুর পড়াইনি তবু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
