অবৈধ ভাবে ভারতে রয়ে থাকা ’ইরানিরা’ একের পর এক ধরা পড়ছে পুলিশের জালে।পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে দুই ইরানি গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বর্ধমান শহর থেকে গ্রেপ্তার হল আরো এক ইরানি। ধৃত ওই ইরানি নাগরিকের নাম মাজিদ মহম্মদ হোসেনী। বছর ৫০ বয়সী এই ইরানিকে পুলিশ শনিবার বর্ধমান শহরের কাঁটাপুকুর এলাকার একটি হেটেল থেকে পাকড়াও করে । ভারতে রয়ে থাকার সন্তোষজনক ব্যাক্ষ্যা দিতে না পারায় পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ফরেনার্স অ্যাক্টে (১৪ সি ধারায়) মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃত ইরানি নাগরিককে পেশ করে বর্ধমান আদালতে।
বিচারকের নির্দেশে ধৃত ইরানির ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইরানি নাগরিক মজিদ মহম্মদ হোসেনী শনিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কাঁটাপুকুরের একটি হোটেল রুম ভাড়া নিতে যায়। হোটেলের ম্যানেজার তার পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখে হোটেল ম্যানেজার নিশ্চিত হয়ে যান ইরনি নাগরিকের ’ভিসার’ মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে। তার পর হোটেল ম্যানেজার বর্ধমান থানায় বিষয়টি জানায় ।পুলিশ দ্রুত হোটেলে পৌছে গিয়ে ইরানি নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভাষা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ইরানি নাগরিকের সমস্যা হয়।পরে গুগল ট্রান্সলেট করে পুলিশ জানতে পারে হোটেলে রুম ভাড়া নিতে আসা ইরানি নাগরিকের বাড়ি ইরানের তেহেরানে তার বাড়ি।তিনি কলকাতায় থাকার আগে দিল্লিতে ছিলেন। সেখান থেকে চারচাকা গাড়িতে চড়ে তিনি করে কলকাতা এসেছিলেন। ফের তিনি দিল্লি যাচ্ছিলেন।ক্লান্ত বোধ করায় তিনি বর্ধমানের একটি হোটেলে রুম ভাড়া নিতে এসেছিলেন।
বর্ধমান ইরানি নগরিক ঢরা পড়ার ২৪ ঘন্টা আগে গত শুক্রবার জেলার মন্তেশ্বরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অবৈধ ভাবে ভারতে রয়ে থাকা দুই ইরানি। ধৃতরা হল আলি মাহাবুবি ও তাঁর ছেলে আমির আব্বাস মাহাবুবি।এঁদের বাড়ি ইরানের তেহেরানের খানিয়াবাদে। এই দুই ইরানি শুক্রবার রাতে একটি চারচাকা গাড়িতে চড়ে মন্তেশ্বরের হোসেনপুর গ্রামে পৌছায়। খরিদ্দার সেজে হোসেনপুর গ্রামের একটি সোনার দোকানে ঢুকে সোনার ৩টি নাকছাবি ও ১টি কানের দুল চুরি করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়রা ধরে ফেলে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।
