অনুব্রত মণ্ডল, তিহার জেলে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তির পর তিনি তাঁর জীবনযাত্রায় বেশ কিছু বড় পরিবর্তন এনেছেন। বীরভূমের এই প্রভাবশালী নেতা এখন নিজের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন এবং ডায়েট কন্ট্রোলে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করছেন।
অনুব্রত মণ্ডল এখন সম্পূর্ণভাবে তাঁর স্বাস্থ্য ও ডায়েটের উপর মনোযোগী হয়েছেন। তিহার জেলে কাটানো সময়ের পর তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, সুস্থ জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি। রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা কুঠির সামনে গাড়িতে বসে শুধু শশা দিয়ে মুড়ি আর চিনি ছাড়া এক কাপ চা খেয়ে তিনি সকলকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি এখন স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন।

Highlight
- অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পরবর্তী জীবন
- স্বাস্থ্য সচেতনতার নতুন যাত্রা
- শক্তিগড়ের ল্যাংচা কুঠির সামনে বিশেষ মুহূর্ত
- পূর্ববর্তী জীবনের তুলনা
- স্বাস্থ্য সচেতন অনুব্রত: মেনু পরিবর্তন
- কলকাতা যাত্রার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
- তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক
স্বাস্থ্য সচেতন অনুব্রত: মেনু পরিবর্তন
অনুব্রত মণ্ডল আগে ছিলেন খাওয়া-দাওয়া পছন্দ করা মানুষ। কিন্তু বর্তমানের অনুব্রত অনেক বেশি দায়িত্বশীল। আগে যেখানে ল্যাংচা, রাজভোগ, ডালকচুরী খেতেন, সেখানে এখন তিনি শশা দিয়ে মুড়ি এবং চিনি ছাড়া চা খাচ্ছেন। তাঁর এই পরিবর্তন জীবনযাত্রায় নতুন দিশা যোগ করেছে।

শক্তিগড়ের ল্যাংচা কুঠির সামনে বিশেষ মুহূর্ত
শক্তিগড়ের ল্যাংচা কুঠি, যেখানে আগে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর প্রিয় মিষ্টি এবং নানান রকম মুখোরচক খাবার খেতেন, সেখানে এবার তিনি কোনো কিছুই মুখে তোলেননি। তিনি শুধু গাড়ির ভেতর বসে নিজের মেনু অনুযায়ী খাবার খেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। তাঁর অনুগামীরাও এদিন সেই মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন।
পূর্ববর্তী জীবনের তুলনা
গত বছর ৭ মার্চ, যখন গরু পাচার মামলায় দিল্লীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, অনুব্রত মণ্ডল একই জায়গায় দাঁড়িয়ে চারটি ডালকচুরী, তরকারি, স্পেশাল ল্যাংচা এবং রাজভোগ দিয়ে প্রাতরাশ সেরেছিলেন। সেই সময়ের অনুব্রতর খাবারের অভ্যাস এবং বর্তমানের ডায়েটের মধ্যে এক বিশাল পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এই পরিবর্তনই বলছে যে, তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে এখন অনেক বেশি সতর্ক।
কলকাতা যাত্রার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
অনুব্রত মণ্ডল এদিন জানিয়েছেন, কলকাতায় যাওয়ার কারণ তাঁর মেয়ে সুকন্যার চিকিৎসা। তিনি বলেন, “বাড়িতে দুর্গাপুজো আছে, তাই চিকিৎসা করিয়েই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসব।” কলকাতা গিয়ে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক
বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি বহাল থাকা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বেশ রক্ষণাত্মক। তিনি জানান, কোর কমিটি আগেও ছিল এবং তিনি তখনও জেলা সভাপতি ছিলেন, এখনো আছেন। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ আলোচনা নিয়ে তিনি খুব একটা কিছু প্রকাশ করতে রাজি হননি।