গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন। নাগরিকদের ঠিকঠাক পরিসেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে সেই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং যারা কথা শুনবে না তাদের সেই জায়গা থেকে দূর করার নির্দেশও পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কড়া বার্তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
রাস্তার ধারে ফুটপাতের ওপরে অবাঞ্ছিত বিভিন্ন হকারদের দোকান এ ছাড়া পুকুর ভরাট বেআইনি নির্মাণ এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জঞ্জালমুক্ত স্বচ্ছতা পরিবেশ গঠনের নির্দেশ দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সরল হন।
বৈঠকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু ধমক আর বকাবকির সুর ই শোনা যায় তাঁর গলায়।
কোন পুরসভা ফেল রাজ্যের কোন কোন জায়গায় পুরসভা গুলি ঠিকঠাক মতন কাজ করছে সেই দিকেও নজর দেওয়া হয় রাজ্যের পুরসভার পুরো প্রতিনিধি আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছেন আর সেখানে রীতিমতো ধমক দিয়েছেন তিনি। আর তার সেই ধমকের এবং বকাবকি পরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গেছে জোর কদমে কাজকর্ম।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় সেই রকমই দৃশ্য দেখা গেল। বর্ধমান পৌরসভার এম সি আই সি প্রদীপ রহমান আজ বর্ধমান শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রেলওয়ে ব্রিজের ঠিক নিচে যে জঞ্জাল আবর্জনা ফেলার যে ভ্যাট রয়েছে সেটি পরি দর্শনের এসেছেন এবং পুরো জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিচ্ছেন নিজে দাঁড়িয়ে থাকে এবং সেই সঙ্গে তিনি সেই এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যন্ত লাগিয়েছেন তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে নির্দেশ দিয়েছেন তার নির্দেশ মতোই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
আগে থেকেই আমরা বর্ধমান শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছতা বজায় রেখেছি তার পরেও আমরা এখন আরো জোর কদমে শুরু করে দিয়েছি কাজ এরপরে আমাদের পৌরসভার কোন কর্মীরা যদি যখন তখন যত্রতত্র আবর্জনা ফেলে দিয়ে যায় সেই দিকে আমাদের করা নজর থাকবে এবং আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে করা ব্যবস্থা নেব। এমনকি জরিমানা কথা পর্যন্ত আমরা ভাববো।