প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান
পুলিশ আমাকেও গ্রেপ্তার করতে পারে ! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ পূর্ব বর্ধমানে জনসভা করতে আসার আগে দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্য
যথেষ্টই শোরগোল ফেলে দিয়েছে।কি কারণে পুলিশ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ কে গ্রেপ্তার করবে তা সকলের কাছেই আজানা । তবে দিলীপ ঘোষ অবশ্য এনিয়ে তাঁর ব্যাখ্যায় কোন রাখঢাক রাখেন নি।
বর্ধমান শহরের কালিবাজারে সোমবার জনসংযোগ সেরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। হাসনাবাদে বিস্ফোরণ কাণ্ডে বিজেপি নেতার ভাইকে পুলিশের
গ্রেপ্তার করার কথা উঠতেই দিলীপ ঘোষ বলেন, “হয়তো আমাকেও কোনদিন পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে।এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি,তৃণমূল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, আর পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করছে।“ একই সঙ্গে
রবিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের নবগ্রামে হওয়া বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গ সামনে এনে দিলীপ ঘোষ বলেন,“সিবিআই ও ইডির ভয়ে তৃণমূল নেতারা বাড়িতে আর বিস্ফোরক রাখছে না। কারণ সিবিআই, ইডি মাটি খুঁড়ে সব বার করে দিচ্ছে।এর আগে দেখেছি বীরভূমে টিএমসি নেতার বাড়িতে, টয়লেটে বিস্ফোরক মজুত ছিল। এখন তারা সেসব সরকারি বিল্ডিংয়ের পাশে মজুত করছে“।
গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কার কথা শেষ করেই দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ।নিজস্ব ভঙ্গিমায় তিনি বলেন,“এত চোর, ডাকাত, গুণ্ডা, বদমাস তাদের তাড়াবার দ্বায়িত্বতো কাউকে নিতে হবে। সেটা আমি নিয়েছি। তাই লোকে আমাকে ভরসা করে লাঠি দিচ্ছে, গদা দিচ্ছে, ত্রিশুল দিচ্ছে বাকিদের হাতে তো বাণ্ডিল দেয়। আসলে লাঠি,
গদা ,ত্রিশুল এসব একমাত্র তাঁর হাতেই ভালো শোভা পায় বলে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন। তবে লাঠি নিয়ে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ,এই লাঠি যেন তাঁকে ব্যবহার না করতে হয়।
এসএসসি মামলায় এদিনের সুপ্রিম শুনানির বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,“টিএমসি চুরি করবে, লুঠ করবে আবার কোর্টে গিয়ে থাপ্পর খাবে।
মুর্শিদাবাদে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,“যেমন ভারত থেকে বাংলাকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে ,তেমন বাংলা থেকে মুর্শিদাবাদকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে। ওখানে টিএমসি গুণ্ডা ও টেরোরিস্টদের মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে।ওখানেই যত বোম,বারুদ,বিস্ফোরক
যেমন মজুদ হচ্ছে, তেমনি বিস্ফোরণও হচ্ছে। এতে বাংলার বদনাম হচ্ছে।টিএমসি এর জন্য দায়ী।
দিলীপ ঘোষের এইসব মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যে মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বর্ধমানে কোথাও কোন অশান্তি হয় নি। দিলীপ ঘোষ-ই দায়িত্ব নিয়েছেন অশান্তি পাকানোর।সেই জন্য তিনি এসব হুঙ্কার দিচ্ছেন।তবে এখানকার মানুষ জানেন কাকে কি ওষুধ দিতে হয়।৪ জুনের পর এসব লোকেদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না“।