বাবু সিদ্ধান্ত, বর্ধমান – লক ডাউনের মধ্যেই দলছুট একটি দাঁতাল হাতি জঙ্গল ছেড়ে হানাদিল লোকালয়ের ধান খেতে। এই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের গলসির পোতনা গ্রামে।বরো ধানের
ক্ষতি আটকাতে লকডাউন ভঙ্গ করেই হাতি তাড়াতে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা ।খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় ।গ্রামবাসীদের সবাইকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখে বন দফতরে খবর দেয় ।
পানাগড় রেঞ্জের কসবা বিটের বিট অফিসার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বন কর্মী ও হুলা পার্টির লোকজন বেলায় পোতনা গ্রামে পৌছান । তারা হাতিটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরানোর কাজ শুরু করেন । সূর্যাস্তের আগে দলছুট হাতিটিকে দামোদর পার করে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে তাড়িয়ে নিয়েযেতে সক্ষম হন বনকর্মীরা । এরপরেই হাতির হানার আতঙ্ক মুক্ত হন পোতনা গ্রামের বাসিন্দারা ।
গলসির পোতনা গ্রামের চাষি সেখ মনসুর রহমান ,অসিত মণ্ডল প্রমুখরা বলেন ,এদিন ভোরে দলছুট একটি দাঁতাল হাতি বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে দামোদর নদ পেরিয়ে পোতনা গ্রামের বরো চষের জমিতে ঢুকে পরে।বিভিন্ন চাষির বরো ধানের জমিতে ঘুরে ঘুরে ফলা ধান খবার পর একটি জমিতে হাতিটি শুয়েও পড়ে । অসিত মণ্ডল সহ অন্য চাষিরা জানান ,হাতির হানায় আনুমানিক ৫-৭ বিঘা ধান জমির ক্ষতি হয়েছে । এছাড়াও যেসব ধান জমি মাড়িয়ে হাতিটি এসেছে ও হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছেে সেই সব জমির ধানও নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন।ক্ষতিপূরণের দাবিতে করেছেন চাষিরা ।

পানাগড় রেঞ্জের কসবা বিট অফিসার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,দলছুট দাঁতাল হাতিটি বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে এদিন ভোরে গলসির পোতনা গ্রামে চলে আসে ।খবর পেয়ে তিনি অন্য বনকর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যদের দিয়ে পোতনা গ্রামে পৌছান । মশাল জ্বালিয়ে হুলা পার্টির সদস্যরা পোতনা গ্রাম থেকে ১০-১২ কিমি দূরে দামোদর পর্যন্ত হাতিটিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার মুখে হাতিটিকে দামোদর পারকরে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে । হাতির হানায় যেসব চাষির চাষজমির ক্ষতি হয়েছে তারা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিট অফিসার জানিয়েছেন ।