প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৩ জুলাই

বাঁশ দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে নিজের মা’কে
খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ছেলে। পৈশাচিক এই
হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে । পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তর নাম বাপি বাগদি ।
তাঁর বাড়ি ভাতারের দেবপুর গ্রামে।মা ঝর্ণা বাগদিকে পিটিয়ে খুনের পর থেকে ছেলে বাপি বাগদি পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।প্রায় এক ধরে পালিয়ে বেড়ানো গুনধর ছেলে বুধবার রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ।
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার ধ্তকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ তাকে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বাপি বাগদির মা ঝর্ণাদেবী ও বাবা আনন বাগদি দু’জনেই জনমজুরির কাজ করতেন । তাদের তিন ছেলে। তিনজনেই বিবাহিত । বড় ছেলে বাপি । একই বাড়িতে পৃথক সংসার চারটি পরিবার থাকে । ঘটনার দিন এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ঘরে বসেই মদ্যপান করছিল বাপি । বাপির স্ত্রী অপর্না বাগদি তাকে নিষেধ করে ।
কিন্তু তার কথায় কান দেয়নি বাপি ।মাঠের কাজ সেরে দুপুরে বাড়ি ফেরেন ঝর্ণাদেবী ও তাঁর স্বামী । বড় ছেলেকে ঘরে বসে মদ্যপান করতে দেখে ঝর্ণাদেবী প্রতিবাদ করেন । অভিযোগ ,তখনই একটা বাঁশ দিয়ে মা’কে নির্মমভাবে পেটাতে শুরু করে বাপি । গুরুতর জখম হন ঝর্ণাদেবী । পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ঝর্ণাদেবীকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । চার দিনের মাথায় সেখানেই ঝর্ণাদেবীর মৃত্যু হয়। ওইদিনই বাবা আনন বাগদি তাঁর ছেলে বাপির বিরুদ্ধে ভাতার থানায় এফআইআর রজু করেন ।