পঞ্চায়েত নির্বাচনের নমিনেশন শেষ। এরই মধ্যে চলছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগকে তীক্ষ্ণ করে প্রচার চালাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা প্রচার চালাচ্ছে শাসকদলও। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে দেখে গিয়েছে বিরোধী দলগুলির জোট। যেখানে কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএম সহ বামদলগুলিতো বটেই বিজেপি প্রার্থী সমর্থকেরা একসঙ্গে মিছিল করে নমিনেশন দিতে যাচ্ছিলেন।কিন্ত তৃণমূলের বিকল্প হতে বিরোধী দলগুলির মধ্যেও চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা। কাকে কে টেক্কা দেবে, তাই নিয়ে জোর টক্কর শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলায়। তাই বাম থেকে বিজেপি সব পক্ষই বলছে তারাই বিকল্প হওয়ার দাবিদার। নমিনেশন শুরুর আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।

রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের প্রথম সারির সদস্য শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলছেন, “বিজেপি অনেক সংগঠিত। বিজেপি রাজ্যের বিকল্প।মানুষ বিজেপিকে দেখতে চান। তার কারণ কংগ্রেসকে ২৫ বছর বাংলার মানুষ দেখেছেন, সিপিএমকে ৩৪ বছর দেখেছেন, তৃণমূলকে ১২ বছর দেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখনও পরীক্ষিত নয়। তাই বিজেপিকে টেস্ট করতে চায় মানুষ।”পাল্টা দিয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বিজেপির দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “কংগ্রেসকে দেখেছে মানুষ। বামফ্রন্টকে দেখেছে মানুষ। তৃণমূলকেও দেখছে মানুষ। ত্রিপুরায় বিজেপিকে টেস্ট করে মানুষ বুঝেছে আরও খারাপ। তিক্ত। তৃণমূলকে হটাতে বিজেপির উপর যাঁরা ভরসা করেছিলেন, তাঁরা ঠকেছেন। যাঁরা তৃণমূলের ওপর ভরসা করেছিলেন, তাঁরা যেমন ঠকেছেন।
গত কয়েকটা বছরে তাঁরা বুঝেছেন, বিজেপিকে দিয়ে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না। চিটফান্ডের মামলার চার্জশিট এত বছর পরেও হল না কেন? কুনাল ঘোষ বলেছিল সব চাইতে বড় বেনিফিসিয়ারি মমতা ব্যানার্জি। কেন সিবিআই তাঁকে আজ পর্যন্ত স্পর্শ করল না? কেন চার্জসিট দিল না? যদি সিবিআই চার্জশিট দিত তাহলে গোটা তৃণমূল দল জেলের ভেতরে থাকত।”তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলকে বাঁচিয়ে রেখেছে অক্সিজেন দিয়ে বিজেপি। বিজেপির প্রশ্রয় না থাকলে তৃণমূলের নেতাদের জেলে থাকার কথা। জানেন না বিরোধী দলনেতা? কেনও ভাইপোর বিরুদ্ধে অ্যাকশন হয়নি। কেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন হয়নি?” নমিনেশন প্রত্যাহারের পরেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির আত্মবিশ্বাস অটুট রয়েছে। কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সেভাবেই প্রচার চালাচ্ছেন তারা।