আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ শিক্ষা লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য ভ্রমন ধর্ম কৃষি কাজ ক্রাইম

অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে এলেন গফুর আলী খান

By krishna Saha

Published :

WhatsApp Channel Join Now
কৃষ্ণ সাহা
রায়না, পূর্ব বর্ধমান— পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ব্লকের ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গফুর আলী খান একটি অতি পরিচিত নাম। গরীব দুঃখী মানুষের ত্রাতা তিনি। করোনা ভাইরাস মুক্ত পৃথিবী গড়তে লকডাউন জারি হয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ সহ শ্রমজীবী সমস্ত মানুষের রুটি-রুজি বন্ধ এখন। সরকারি তরফ থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। তবুও চাল গমেই তো প্রয়োজন মিটে যায় না। সেই প্রয়োজন মেটাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েতর গ্রামগুলিতে অসহায় মানুষদের পাশে এগিয়ে এলেন গফুর আলী খান। এসএস রাইস মিলের ডিরেকটর গফুর আলী খান এই দিন তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো মানুষের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিলেন।এইসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, নুন, আলু, মুড়ি, বিস্কুট। উচালন ছাড়াও এই জেলার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় তার রাইসমিল, কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে।
প্রত্যেকটি জায়গা থেকেই তিনি তার সাধ্যমত অসহায় মানুষদের দান করে গেছেন বলে জানালেন তার শ্যালক মির্জা বশির আহম্মদ। তিনি আগে থেকেই স্থানীয় বিডিও এবং ওসি সাহেবের কাছে তার দান করা নিয়ে অনুমতি নিয়েই রেখেছিলেন। বলেছিলেন, সরকারি সাহায্যের পরেও যা কিছু চাহিদা থাকবে সবটাই নিজের হাতে মেটাবেন তিনি। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যেককেই টোকেন দেওয়া ছিল আগে থেকেই। তালিকার বাইরে নাম নথিভুক্ত হয়নি এমন মানুষদের ফেরাবেন না তিনি। হিসাব মত তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো ছাড়াও আলাদাভাবে দেড়শ মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা তিনি করে রেখেছেন।

বর্তমানের লকডাউন জারি আছে ঠিকই। তবে এই গফুর আলী খান নামক মহান মানুষটির কর্মপরিধি বহুদূর বিস্তৃত। এমনিতেই তার রাইস মিলের প্রত্যেকদিন ৩০ থেকে ৪০ জন দীন দুঃখী মানুষদের চাল,ডাল দান করেন তিনি। অহংকার বিহীন এই মানুষটার তুলনা হয়না। ধর্মের দিক থেকে তিনি মুসলিম হলেও, তারমধ্যে লক্ষ্য করা যায় পরধর্ম সহিষ্ণুতা। আঞ্চলিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রে তিনি দান করেন নির্দ্বিধায়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাদ যায়না তার নজর থেকে। এমনটাই জানালেন স্থানীয় কর্মজীবী গোবিন্দ ঘোষ। এলাকার ক্লাবগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে চাল,ডাল পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। বারবার প্রমাণ করে গেছেন, মানুষের পরিচয় ধর্মে নয়, বরং কর্মে।

এই অসময়ে নিজেদের ব্যবসার যদি ৫ পার্সেন্ট সাধারণ মানুষদের সেবা লাগাতে পারেন তাহলে উপকৃত হন তারা, এমনটাই জানিয়েছেন গফুর আলী খান নিজে। রায়না দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত গ্রামপঞ্চায়েত আছে আটটি। অঞ্চলের গ্রামের সমস্ত চাহিদা পূরণ করবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ গফুর আলী খান। গরিবিয়ানা ধ্বংস করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন তিনি। রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও তিনি বিডিও সাহেবের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেবেন বলেও জানালেন তিনি। তবে তার বক্তব্যে পরিষ্কার উঠে এলো তাদের কথা, যারা তাকে এই কাজে সাহায্য করেছেন, রাইস মিলের ব্যবসা যারা তাকে নিয়োজিত করেছেন দিলীপ শাহানা, অদ্বৈত খা,দিলীপ শাও প্রমূখ। বারবার তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

 

See also  এক সময়ের মল্লরাজাদের রাজধানী 'বিষ্ণুপুরের মোতিচুরে'র জি.আই অর্থাৎ ভৌগলিক স্বীকৃতির দাবি উঠলো

krishna Saha

আমার নাম কৃষ্ণ কুমার সাহা, আমি ফুল টাইম সাংবাদিকতা করি।গত ৮ বছর ধরে এই পেশায় আছি