এ যেন ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়ালের গল্প! হঠাৎ করেই মহিষাদলের বেশ কয়েকজন ব্লক প্রাণী বন্ধুরা হয়ে গেলেন লাখপতি। কারণ, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আচমকাই ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা! কী ভাবে, কেন লক্ষ লক্ষ টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল, তা জানতে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন সকলে। শেষমেশ খোঁজ খবর নিয়ে বিডিও জানতে পেরেছেন গোটাটাই ভুল করে।

তবে রাতারাতি বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কয়েক লক্ষ টাকা, যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মহিষাদল এলাকায়।জানা গিয়েছে, হঠাৎই বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যা জানাজানি হতেই ব্লক প্রশাসন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। এরপর অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোথা থেকে টাকা ঢুকল, কেনই বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেল– তা নিয়েই রীতিমতো শোরগোল পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে।মহিষাদল ব্লকের প্রাণী বন্ধুদের অ্যাকাউন্টে কারও ছয় লক্ষ, তো কারও আবার পাঁচ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। আবার কারও প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। এমন বিশাল অঙ্কের টাকা ১১ জনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে খবর।
এরপরই মহিষাদল ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১ জন প্রাণীমিত্রকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের সাফাই, ব্যাঙ্কের ভুলের কারণেই ওই টাকা ঢুকেছে। ব্লক প্রশাসনের কোনও গাফিলতি নেই। আগামিকাল সোমবার সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন ফের স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হয়েছে।এদিকে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন প্রাণী মিত্ররা। মাসের শুরুতে তাঁরা বেতনও তুলতে পারছেন না। প্রয়োজনের সাপেক্ষে অ্যাকাউন্টে লেনদেনও করতে বাধা। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন মহিষাদল ব্লকের ১১ জন প্রাণী বন্ধু। ব্লক প্রশাসনের টাকা কী ভাবে ১১ জনের অ্যাকাউন্টে ঢুকল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাকে ঘিরে গোটা মহিষাদল জুড়ে শোরগোল পড়েছে।