হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ সি পদের চাকরি বাতিল হয়েছে ৮৪২ জনের। তাতেই চাকরি খোয়ালেন হগলি জেলা পরিষদের সদস্য টুম্পা মেটে। দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ শ্রীরামপুরের নেতাজি বয়েজ স্কুলে গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নয়া নির্দেশিকার পরে চাকরি হারিয়েছেন টুম্পা।

এই বিষয়ে টুম্পা মেটে বলেন, টাকা তো দূরের কথা, এক প্যাকেট মিষ্টিও কাউকে দেননি। পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে দাবী তার। ২০১৬ সালে তার পরীক্ষা হয়। লেখা পরীক্ষায় পাশ করার পরেই তার মৌখিক পরীক্ষা হয় তাতে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরই তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। সেই মতো ২০১৮ সালে শ্রীরামপুর নেতাজি বয় স্কুলের গ্রুপ সি পদে ক্ল্যারিক্যাল বিভাগে তিনি যোগদান করেন।
টুম্পা আরও বলেন, টাকা পয়সার লেনদেন এই সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনওদিনই ছিলেন না। বর্তমানে ইডি, সি বআই মারফত যা জানা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের বিনিময়ে অন্যরা চাকরি পেয়েছে। তাঁর ক্ষেত্রে কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। তিনি তাঁর নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরির জন্য তাঁকে এক টাকাও দিতে হয়নি।
ওয়েবসাইটে যখন রেজাল্ট বেরিয়েছিল তখন তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫৪। তারপরেই তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে একমাস যাবত তিনি জানতে পারছেন ওএমআর শিটের কারচুপির বিষয়ে। কিন্তু তার দাবী তিনি এই সব বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তার কথায়, “বিরোধীরা এটা নিয়ে হয়ত আমাকে আমার দলকে কালিমা লিপ্ত করতে চাইবে। কিন্তু মানুষের জন্য সততার সঙ্গে কাজ করেছি। তাই দল পাশে থাকবে এটা মনে করি।”
রিষড়া বামুনারীর বাসিন্দা টুম্পার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মেটে তৃনমূল নেতা বর্তমানে রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। স্ত্রী-এর চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, চাকরির প্রয়োজন আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের আছে। কিন্তু স্ত্রীর চাকরির জন্য কাউকে কোনও টাকা দিইনি। এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল। ওএমআর শিটে কিছু হয়ে থাকলে সেটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলতে পারবে। আমাদের জানা নেই। আমরা দুজনেই যেহেতু তৃণমূল করি তাই চাকরি চলে যাওয়ায় সামাজিক সম্মান নষ্ট হবে।পাঁচ বছর ওই স্কুলে চাকরি করল তারপর কি করে কি হল আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। টুম্পা পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল আমি নিজে ওকে পড়াতাম। এখন বিরোধীরা অপপ্রচার করবে।